মিরর বাংলাদেশ : বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার সকালে এমনটাই জানিয়েছেন নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আপাতত তাকে মেডিক্যাল টিমের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এইমস হাসপাতালের কার্ডিও-থোরাসিক বিভাগে ভর্তি করানোর পর ৮৭ বছর বয়সী মনমোহন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
রাতেই তাকে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যার সমাধানে নতুন ওষুধ দেওয়া হয়। তবে ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জ্বর আসে মনমোহনের। আপাতত সেই জ্বর কমানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. নীতিশ নায়েকের তত্ত্বাবধানে গঠিত মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক।
করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক লকডাউনের আগে থেকেই কিছুটা অসুস্থ ছিলেন ভারতের দুবারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মনমোহন দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছেন। এর আগে ২০০৯ সালে দিল্লির এই হাসপাতালেই একবার তার বাইপাস হার্ট সার্জারি হয়েছে। তার পর থেকেই দুর্বল হয়ে পড়েন কংগ্রেস দলীয় প্রবীণ এই রাজনীতিক।
উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও লকডাউন পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে সচল ছিলেন ড. মনমোহন। সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রস দলীয় মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে তিনি মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন। প্রশ্ন তোলেন দেশের অর্থনীতি নিয়ে।