ছবি : শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ
শাহীন তারেক,মানিকগঞ্জ :
করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে অসহায় দু:স্থ মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ। করোনা দুর্যোগে শুধু অর্পিত দায়িত্ব পালন নয়,পাশাপাশি তিনি দেখছেন মানবিকতাকে। সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা তিনি যথাযথভাবে পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের দৌরগোড়ায়।ইতোমধ্যে শিবালয়ের সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন তিনি ।
কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত অবধি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন মানব সেবায়। করোনার এ মুহুতে অসাহায় মনুষের যাতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্যে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদে নেতৃত্বে সমাজসেবা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীদের সমন্বয়ে ‘কুইক রেসপন্স‘ টিম গঠন করে দু:স্থ, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পৌঁছ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
উপজেলার মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে যেন হয়রানির শিকার না হয় সে জন্যে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের অর্থায়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয় কোভিড ১৯ স্যাম্পল কালেকশন বুথ।
অপর দিকে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার দর নিয়ন্ত্রনে রাখতে সবসময় নজর রাখছেন হাট বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
সরকারী আদেশ অমান্য করায় কখনো কখনো পরিচালনা করছেন যানবাহন ও দোকানপাটে মোবাইল কোর্ট।
শিবালয় উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ মিরর বাংলাদেশ ডট কমকে জানান,৮মে পযর্ন্ত প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬হাজার ৬শত পরিবারের মাঝে ৬৬ মে.টন চাল ও ৬৫ লক্ষ ২হাজার টাকা খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে ২ লক্ষ টাকার খাদ্য সহায়তা বিতরন করা হয়েছে।
ভিজিডি কার্ডধারী ১৬৪৯ পরিবারকে ৬০ কেজি করে চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারী ৫১৫০ পরিবারকে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফ এর আওতায় ৮শ৪০জন জেলে পরিবারকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল ও মে মাসে ১৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। শিশুখাদ্য দেওয়া হয়েছে ১৮৪ টি পরিবারকে।
উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে জনপ্রতিনিধি/সংগঠন/ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন প্রায় ৭হাজার ৬শত পরিবার।
ফোন বা ৩৩৩ বা ফেইসবুক পেইজের তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়া হয়েছে ৪৬৭ পরিবারের মাঝে।
উপজেলার কওমী মাদ্রাসার সমূহে দশ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বয়স্ক/ বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রম চলমান হয়েছে।