মিরর বাংলাদেশ: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে বাসায় চিকাৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দুই শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয়মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো, এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এর আগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল তার পরিবার।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।
দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বোন সেলিমা ইসলাম। মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থাগিত করার সিদ্ধান্তে সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়ে সেলিমা ইসলাম বলেন, এখনো সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
আর কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম।