মিরর বাংলাদেশ : মুজিববর্ষ উদযাপনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে তবে সাম্প্রদায়িক কোনো অপশক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সম্মেলনের সময়ও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মুজিববর্ষের ক্ষণ-গণনার সময়ও তাদেরকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন তারা আসেনি জানা নেই। মুজিবর্ষে তারা উপস্থিত হবে কি না তাদের বিষয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক অশক্তি মুজিববর্ষে সাথে যুক্ত করবো না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। মুজিববর্ষে দেশি-বিদেশি অনেক অতিথি উপস্থিত থাকবেন।
মুজিববর্ষ প্যারেড গ্রাউন্ডে উদযাপন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে যে জাতীয় কমিটি আছে তারা আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। মুজিববর্ষের কর্মসূচি নিয়ে দলীয়ভাবে এখনো বসা হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিগগিরই আমরা বসবো। আমাদের পার্টির এজেন্ডাগুলো আমরা নেতাকর্মীদের দিব। এখানে দুটি বিষয় আছে, জেলা কমিটির প্রবীণ নেতাদের ঢাকায় এনে আমরা সংবর্ধনা দিব এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি স্মরণিকা বের করা হবে। স্মরণিকা নিয়ে কাজের প্রস্তুতি চলছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদে একটি বিশেষ অধিব্নশন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে কারা থাকছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী মার্চের ২২ ও ২৩ তারিখ সেই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ২২ তারিখে জাতীয় সংসদ সদস্যরা একযোগে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে ২দিনের কর্মসূচি শুরু করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির কথা ও স্মরণীয় দিন গুলো তুলে ধরা হবে অধিবেশনে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ, উন্নয়ন অর্জনের বিষয়গুলো তুলে ধরে মুজিববর্ষে আলোচনা করা হবে। এখানে দেশী-বিদেশী অনেক অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সেখানে বাংলাদেশ হবে ব্রান্ড। বাংলাদেশকেই আমরা ফোকাস করবো। আওয়ামী লীগের সংগ্রাম, উন্নয়ন, অর্জন, সাফল্য ইতিহাস, সবকিছুই মুজিববর্ষে উল্লেখ করা হবে।
এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন