খলিলুর চৌগাছা শহরের ভাস্কর্য মোড়ের একটি বাড়িতে মাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শনিবার বিকেল চারটার দিকে ভাড়া বাড়িতে খলিলের মৃত্যু হয়। আর সুবলকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চৌগাছা হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
মৃত খলিলের বড়ভাই জামাল উদ্দিন জানান, শনিবার ভোররাতের দিকে তার কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়। সারাদিনেও কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়। দুপুরে কয়েকবার বমি করেন তিনি। এরপর শ্বাসকষ্ট হয়ে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
সুবলের বড়ভাই বলরাম সর্দার জানান, সুবল শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চৌগাছা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে গ্যাসের চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেয়া হয়। তার পায়খানা না হওয়ায় সাবোজিটরও দেয়া হয়। তাতেও কিছু হয়নি। রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, শুক্রবার রাতে আরো কয়েকজন ড্রাইভারদের সাথে এরা দুজনও বেশি মাত্রায় বিষাক্ত মদ পান করেন। এদের মধ্যে উপজেলার পুড়াহুদা গ্রামের আরেক ব্যক্তিও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রাতে পুলিশ পুড়াহুদা গ্রামের ওই ব্যক্তিকে আটক করতে যায়। সূত্রটি আরো জানায় সুবোল সর্দার ও তার এক সহযোগী এই মদের ব্যবসা করতেন। তারা যশোর মাড়োয়ারি মন্দির এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই মদ কিনে চৌগাছায় বিক্রি করতেন।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের আগে সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে