জানাযায়, আগামী ২৬ জুন কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে আজ প্রতীক বরাদ্দের দিন নির্ধারন করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী নিয়ে সামনের আসনে বসেন। এর কিছুক্ষন পরে আরেক মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা তার সমর্থকদের নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে মিলনায়তন ভবনে প্রবেশ করে। এসময় আবুল বাশার বাদশা তারা প্রতিদ্বন্ধি রফিকুল ইসলামকে তুই তুকারি করে পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসতে বলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন মিলনায়নের ভেতরে একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। দরজা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক ঘন্টা পর দুপুর ১ টার দিকে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিনি তার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকারীসহ সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মুখে চেয়ারে বসেন। কিছুক্ষন পর বাদশাসহ তার লোকজন শ্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করে আমার লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
অপর মেয়র প্রার্থী বাদশা বলেন, ভিতরে সামনের চেয়ারে মেয়র প্রার্থীরা বসবে কিন্তু সেখানে অন্য লোক বসায় কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় লোকজন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। আমরা পরে তাদের শান্ত করি। তবে নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার পর দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।