রুহুল আমিন গাজীর মত সাংবাদিক নেতা পেতে আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে

104

* নারায়ণগঞ্জে স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতারা

মিরর বাংলাদেশ :
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী জেলে ছিলেন। জেলে থেকে তিনি চিকিৎসা চেয়েছেন বারবার, অন্তত টেস্ট করাতে দিতে আবেদন করেন। কিন্তু তারা সেটা করতে দেয়নি, বলেছেন উপরের নির্দেশ আছে। সেখান থেকেই ক্যান্সার হয় তার। কিন্তু তিনি আমাদের বুঝতেও দেননি। ৫ আগষ্ট তিনি বিশাল মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। নেতৃত্বের দিক থেকে তিনি এক নম্বর ছিলেন। গত কয়েক যুগেও কেউ তার সমান হতে পারেনি। রুহুল আমিন গাজীর মত নেতা পেতে আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।
রবিবার দুপুরে নগরীর চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমিন গাজীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব যৌথভাবে এ স্মরন সভার আয়োজন করে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর,সদস্য আবু হানিফ, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বিএফইউজের কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বারী,ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন প্রমুখ।
বিএফইউজের শীর্ষ এ নেতা বলেন, পটপরিবর্তিত সরকার সহযোগিতা করে বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দিবে কিন্তু এটা কি দেখছি, এখনো বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দেওয়া হয়নি। অনেক সাংবাদিকদের এটার সঙ্গে রুজি রোজগারের সর্ম্পক, অনেক সাংবাদিক ভাই আছে তারা অভিজ্ঞ হয়েও চাকরী পায়নি।
ওবায়দুল রহমান বলেন, অনেক জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদরা বসে আছে, এখনো চাকরী করছে, এরা কিভাবে বিভিন্ন চ্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছে এটা আমাদের কাছে অবাক লাগে। আমরা আপনারের সময় বেধে দিতে চাই না, তবে এটুকু বলতে চাই অবিলম্বে ফ্যাসিসদেরকে সরিয়ে দেন। আমাদের বন্ধ মিডিয়া গুলো উদ্ধার করার জন্য, আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা করনীয় তা করব।
তিনি বলেন, এরশাদও বন্দুক নিয়ে গদি রক্ষার চেষ্টা করেছিল। টিকতে পারেনি। তেমনি ফ্যাসিস্ট সরকারও টিকতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো যখন কোণঠাসা তখন সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এজন্যই ফ্যাসিস্ট সরকারের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল সাংবাদিকদের ওপর।
তিনি বলেন, শামীম ওসমানের মত লোক খেলা হবে বলে বলে পুরে দেশ মাথায় তুলেছিল। সেই শামীম ওসমানকে এই প্রেসক্লাব পাত্তা দেয়নি। যেই সন্ত্রাসী হোক। প্রেসক্লাবে হামলা হলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মামলা দিয়ে আপনারা টিকতে পারবেন না। আমাদের অস্তিত্বের বির”দ্ধে দাঁড়িয়ে গেলে আমরা ছাড় দেব না। আমরা আবারও রাজপথে নামবো।
বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার সরকার সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজিকে ১৭ মাস কারারুদ্ধ রেখে বিনা চিকিসায় তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। গাজি ভাই বেচে থাকবেন অন্তকাল। মানুষ ও মানবতার কল্যানে তার চিন্তা ও কর্ম ছিল।