লেবাননে বিষ্ফোরনে নিহত নারায়ণগঞ্জের রাশেদের পরিবারে শোকের মাতম

554

 

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ রাশেদকে একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।রাশেদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন রোববার সন্ধায় জানান,লেবাননে নিহত রাশেদ ফতুল্লার নন্দলাল পুর এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র। তার পরিচয় সনাক্ত হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, রাশেদ ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড নন্দলালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও লৎফন নেছার ২য় পুত্র। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ে। রাশেদ ভাইবোনদের মধ্যে ২য়। ৬ বছর আগে লেবাননে যায় রাশেদ।
এদিকে রোববার রাত ৮টার দিকে রাশেদের বাড়ি নন্দলালপুর খোজ নিয়ে জানা গেছে পুরো পরিবারে শোকের মাতম। সন্তানের জন্য কাদছে বৃদ্ধা মা লুৎফন নেছা।
তিনি জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি তার ৪ সন্তানদের কষ্ট করে লালন পালন করেন। সুখের আশায় রাশেদকে পাঠানো হয় লেবাবনন। গত ১৪ দিন ধরে তার কোন খোজ পাওয়া যায়নি। পরে তার লাশ সনাক্ত হওয়ার পর তার খালাতো ভাই আমাদের খবর দেয়।
তিনি জানান, রাশেদের লাশের অপেক্ষায় রয়েছি। ছেলেকে শেষ বারের মতো একনজর দেখতে চাই।
রাশেদের বোন তাহমিনা জানান, অকালে আমার ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ভাইয়ের লাশের অপক্ষায় আছি আমরা।
জানা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে ৪০০ গজ দূরে ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ রাশেদ। মঙ্গলবার বিস্ফোরণে পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুরে জলদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত হারুন হাসপাতালে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিক মোহাম্মদ রাশেদ বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, তাকে জলদ্বীপ এলাকায় হারুন হাসপাতালে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার আত্মীয় স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, বৈরুতে গত ৪ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। এই বিস্ফোরণে মারা গেছেন পাঁচ বাংলাদেশি।