* সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স‘র সেমিনার
মিরর বাংলাদেশ : সুশাসন ও গণতন্ত্র বিষয়ক সেমিনারে দেশের বিশিষ্টজন বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরেই কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের পরে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বৈরতন্ত্র, শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে আবার ফিরে আসে।
শনিবার সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স এ সেমিনারের আয়োজন করে। মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান। সাংবাদিক ও মিডিয়া সাপোর্টের আহ্বায়ক জিমি আমির, মানবাধিকারকর্মী আবু মুহাম্মদ নিপার, সিডিজিজির পরিচালক সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক ড. মো. রাকিবুল ইসলাম।
সেমিনাওে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত স্বৈরতন্ত্র তার মেয়ে শেখ হাসিনার মাধ্যমে ফিরে আসে ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে তৈরি করা সংবিধানের মধ্য দিয়েই দেশে ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সাংবিধানের একাধিক সংশোধনী আনার পরও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যক্তিকেন্দ্রিক করা হয়।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, গত ১৬ বছর ধরেই কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের পরে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বৈরতন্ত্র, শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে আবার ফিরে আসে।
তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তির অবসান নয়, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে কাঠামোগত পরিবর্তনের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, দেশের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে- সেটি বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এটাই পথ।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, গত ১৬ বছর ধরেই কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের পরে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বৈরতন্ত্র, শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে আবার ফিরে আসে। তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তির অবসান নয়, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে কাঠামোগত পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, দেশের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে- সেটি বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এটাই পথ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন তরুণেরা, ছাত্ররা। তার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম শক্তি জড়িত হয়েছিল। তাই আকাঙ্ক্ষার ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। সাধারণভাবে কেবল ফ্যাসিবাদী শাসন বা একজন ফ্যাসিবাদী শাসককে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই আন্দোলন হয়নি। তবে এটাও সত্য এই আন্দোলনে যুক্তদের কারও কারও আকাঙ্ক্ষা ওইটুকুই ছিল বা এখনো আছে।
তবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন দুটি বিষয় স্পষ্ট, যেখানে ঐকমত্য আছে। সেগুলো হলোÍস্বৈরতন্ত্র যাতে আর ফেরত না আসে এবং একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, কেবল কথায় পরিবর্তন হবে না। অনেক বিষয়ে ভিন্নমত থাকবে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। যে জায়গায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, শুধু ব্যক্তির অপসারণ নয়, কাঠামোগতভাবে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন ও গণতন্ত্রায়ণের যে সুযোগ রক্ত দিয়ে তৈরি হয়েছে সে জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলোকে এক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএফএম আব্দুর রহমান বলেন, সংস্কার না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার আসবে, তাই রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন অপরিহার্য। ****