মিরর বাংলাদেশ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি কলংকমুক্ত হয়েছে।
রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে ধানমন্ডি প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এসএম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার করে জাতিকে পাপমুক্ত করেছেন।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করে সেই দেশকে আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। তার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বিশেষ মর্যাদায় আজ বাংলাদেশ আসীন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশে এখনো বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংকটের ক্রান্তিলগ্নে জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।