সরকারের সমালোচনা করার চিরায়ত ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির রাজনীতি : ওবায়দুল কাদের

727

মিরর বাংলাদেশ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক বিরোধিতার নামে সরকারের সমালোচনা করার চিরায়ত ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির রাজনীতি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
করোনার এই সংকটকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ব্যর্থতার নামে বিষোদগার করছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক বিরোধিতার নামে সরকারের সমালোচনা করার চিরায়ত ভাইরাসে আক্রান্ত আজ বিএনপির রাজনীতি। তারা কখনো জনগণের কথা বলেনি, পাশেও থাকেনি। এই দুর্যোগের সময়ে তারা কথামালার চাতুরী ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে ফোবর্স এবং ইকোনোমিস্টের মত প্রেস্টিজিয়াস সাময়িকী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। তাঁর সাফল্যের বিষয়টি দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। করোনা সংকট মোকাবেলায় তাঁর নেতৃত্ব ও গৃহীত ব্যবস্থার প্রশংসা সর্বত্রই রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংকটকালেও বিএনপি কথায় কথায় সরকারের ব্যর্থতার কথা বলে বিষোদগার করছে। অথচ তারা কখনো জনগণের রাজনীতি করেনি। দুর্যোগের সময়ও তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেনি বরং সরকারের সাফল্যকে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এই দুর্যোগের সময় তারা কথামালার চাতুরি ছাড়া জনগণকে করোনা মোকাবেলায় কিছুই কি দিতে পেরেছেন? পার্শ্ববর্তী দেশে দেখুন কংগ্রেস তহবিল গঠন করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি ছুটির মধ্যে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান চালু রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারকে আজ জনগণের জীবনের পাশাপাশি জীবিকাটাও দেখতে হচ্ছে। মানুষকে বাঁচানোর পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাও সচল রাখতে হবে। তাই, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি শিথিল করা হয়েছে।
বিএনপি জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১০টি দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যেও কোন প্রয়োজন দেখা দেয় নি। এ সংকটে প্রয়োজন চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের মাঝে সমন্বয় গড়ে তোলা। চিকিৎসা বিষয়ক দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞদের নিয়ে এবং বিভিন্ন পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে অভিন্ন শত্রæর বিরুদ্ধে লড়াই করা।
তিনি বলেন, করোনার অভিন্ন টার্গেট দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলেই। টাস্কফোর্স বিভিন্ন দেশে হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে, সেটা ভ্যাকসিন রিলেটেড কিংবা চিকিৎসা বিষয়ক। রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য তথা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।