আব্দুস সালাম : সিরাজদিখানে উপজেলার খাসমহল বালুচর চৌরাস্তায় আকবরনগর এলাকার দুই পক্ষ সুরুজ জামান ও ছামের আলী গ্রপের মধ্যে গুলাগুলিসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লাঠিসোটা, দেশী, বিদেশী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এই হামলা পাল্টা হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। চরম উত্তেজনারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত কয়েকদিন যাবৎ আকবরনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা চলছে। এই ঘটনায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। আহত বা হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, কেরানিগঞ্জ উপজেলার আকবরনগর এলাকায় সুরুজ জমান গ্রæপের লোকজন ফতুল্লা উপজেলার আকবরনগর এলাকায় ছামেদ আলী গ্রæপের লোকজনের উপর খাসমহল বালুচর চৌরাস্তায় হামলা করার চেষ্টা করে। ছামেদ আলী গ্রæপের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সুরুজ জামান গ্রæপের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। উত্তেজনা হয়েছে তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
চাঁদাবাজী বন্ধ ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের টাকা ফেরত চাওয়াই কাল হল বি. আলমের
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বুধবার ভোরে সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর হামলায় আহত একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বি. আলম (৩৫)। সে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের গজারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টায় মারা যান তিনি। শুক্রবার বাদ আছর জানাজা দিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার। রাসেল আলুর ট্রলি ও বালু ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী ও বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের ৩২লাখ টাকাই কাল হয়ে অকালেই বি আলমের জীবনের প্রদীপ নিভিয়ে দিল সন্ত্রাসী বাহিনী। এই ঘটনায় তিন বাড়িতে হামলায় ৯জন আহত হয়েছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে জানা যায়, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে ইমামপুর ইউনিয়নের রাসুল গ্রামে চাঁদাবজী করে আসছিল। মিলন মিজি ও বি. আলম ও আলমের ভাই মকসুদ মোল্লা রাসেলের চাঁদাবাজী বন্ধ করে দেয়। অপরদিকে বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান রসুলপুর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার জন্য জনপ্রতি ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা করে নেয়। ৪০০ রাইজারের পিছনে সর্বমোট ১ কোটি টাকার মধ্যে ৬৮ লাখ টাকা খরচ হয় অবশিষ্ট ৩২ লাখ টাকা আর ফেরত দেয়নি। এই ৩২ লাখ টাকা উত্তোলনের দাবীতে এলাকাবসী ঝাড়ু মিছিল করে। পরবর্তীতে এই ঝাড়ু মিছিলের জের হিসেবে মোহন মিয়াজি ও মিলন মিয়াজীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে আক্রমনাত্মক লিখালিখা করে মজিবুর রহমান গ্রুপ। বিষয়টি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। মিলন মিয়াজী জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মারুফ মিয়াজীকে মারধর করে ৭লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে গজারিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ রাসেল ও মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করে। মিলন মিজি আরো জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে মামলার স্বাক্ষী জমশেদ আলীর ছেলে রাজীব সাক্ষী হওয়ার জের হিসেবে এবং মকসুদ এবং বি. আলমের সাথে থানায় আসা যাওয়া করার কারণে স্বাক্ষী রাজীবের বাবা জমশেদ আলী, বি.আলম ও মিলন মিজির বাড়ীতে একই সময় হামলা করে রাসেল ও বিএনপি নেতা মজিবুর বাহিনী। তিনটি বাড়ির লোকজনই ঘুমের মধ্যে ছিল। মিলন মিজির স্ত্রী জানান, ভোর ৬টার সময় তার বাড়িতে হামলা করে এবং ঘরে গুলি চালায়। পরে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অপরদিকে রাসুলপুরের মকসুদ মোল্লাকে হাত্যার টার্গেক করে অপর একটি গ্রুপ একই সময়ে হামলা করে মকসুদ মোল্লার বাড়িতে হামলা করে তার ভাই বি.আলমের কক্ষে প্রবেশ করে ঘুমের মধ্যেই দুই পায়ের রগ কেটে এবং মাথা থেতলে দেয়। অভিযুক্তদের সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান শুক্রবার বি. আলমের বাড়ী পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান আপরাধীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ^াস দেন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।