সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি আওয়ামীলীগের

279

মিরর বাংলাদেশ : আগামী মাসের শুরুতেই রাজধানীতে দুইটি বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী ১ ও ২ সেপ্টেম্বর এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে তারুণ্যের সমাবেশ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই সমাবেশের আয়োজন করছে। আর দ্বিতীয় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে ২ সেপ্টেম্বর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে। এদিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন বিকেলে পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে এই সুধীসমাবেশের আয়োজন করা হবে।
এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে সারাদেশ থেকে ৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গতকাল শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
ছাত্র সমাবেশ সফল করতে এবং সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সমাবেশে নিয়ে আসতে ছাত্রলীগ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠন করেছে। একই সাথে দেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও জানানো হয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার স্মরণে প্রতিবছর স্মরণসভার আয়োজন করে থাকি। সেই লক্ষ্যে আমরা মাসের শেষ দিন ৩০ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম।’ ‘কিন্তু এই দিন সরকারি ছুটি না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসে জনদুর্ভোগ তৈরির আশঙ্কা করে আমরা সেটা পিছিয়ে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার একটি ছুটির দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে দেশবিরোধী শক্তিকে বার্তা দিতে চায় যে, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের জায়গা হবে না এবং তাদের সকল অপকর্ম রুখতে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
এদিকে ২ সেপ্টেম্বর আরো একটি বড় ধরেনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামীলীগ। এদিন মূলত সুধীসমাবেশের আয়োজন করা হলেও তা হবে বড় আকারের মহাসমাবেশ। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২ সেপ্টেম্বর রাজধানী মহাসমুদ্র দেখবে, জনতার মহাসমুদ্র। সেই মহাসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় আছি। এই দুইদিনের দুই সমাবেশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রমতে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশপাশের ১১ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সুধীসমাবেশে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা রঙের ক্যাপ বা গেঞ্জি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড ও থানা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিতির প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর আগারওগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে এ জনসভা হবে। এতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সুধীজনরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নেতাদের মতবিনিময় সভা শেষে সমাবেশের কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন ‘তারুণ্যনির্ভর সমাবেশ’ এবং দ্বিতীয় দিন সুধীজনদের নিয়ে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। উভয় সমাবেশেই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকা জনতার মহাসমুদ্র দেখবে বলে এ সময় উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে মহাসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইস্পাতের মতো শক্তি নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।