১০ দিনে উহানবাসীর করোনা পরীক্ষার পরিকল্পনা

674

মিরর বাংলাদেশ : নতুন করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস। তাদের সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম।

বিবিসি লিখেছে, পরিকল্পনাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে কীভাবে এ পরীক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে উহানের সব জেলার কাছ থেকে।
গত ৩ এপ্রিল থেকে উহানে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিল না। কিন্তু এ সপ্তাহে রবিবার সেখানে প্রথম একজন এবং পরদিন পাঁচজন নিয়ে মোট ৬ জন নতুন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর শহরটি এ পরিকল্পনা করছে।
গত ৮ এপ্রিলে কঠোর লকডাউন তুলে নিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর। ক্ষণিকের জন্য মনে হয়েছিল যেন হাঁফ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে শহরটি।
এরই মধ্যে সোমবার উহানের একই আবাসিক কম্পাউন্ডের পাঁচ বাসিন্দা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এখন আবার স্বাভাবিকতা থেকে পিছু হটার জন্য চোখ রাঙাচ্ছে এ ভাইরাস।
এদিকে, উহানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি নোটিশ জারি করে তা রাষ্ট্র-পরিচালিত গণমাধ্যম ‘দ্য পেপার’-এ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় উহান কর্তৃপক্ষ শহরজুড়ে ১০ দিন সময়ের মধ্যে নিউক্লিক এসিড টেস্ট করবে।
মাত্র এ কয়েকদিনে এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনার এ দুরুহ কর্মসূচিকে বলা হচ্ছে ‘১০ দিনের লড়াই’।
প্রত্যেক জেলাকেই তাদের অধিবাসীর সংখ্যা কত এবং করোনাভাইরাসের প্রকোপ কেমন তার ভিত্তিতে ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নিজ নিজ পরিকল্পনা হাজির করতে বলা হচ্ছে।
সেইসঙ্গে পরীক্ষার ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
তবে গোটা শহরে পরীক্ষা চালানো দুঃসাধ্য এবং ব্যয়বহুল হবে বলেই অভিমত বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।
উহান ইউনিভার্সিটির আরেক পরিচালক অবশ্য বলছেন, উহানে এরই মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। তাই ১০ দিনের মধ্যে বাকি ৬০ থেকে ৮০ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা ‘সম্ভব’।