১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব

817

মিরর বাংলাদেশ: করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই কিট উৎপাদনের কাঁচামাল নিয়ে আসা হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট উৎপাদনের অনুমতি দুপুর ১টার সময় দিয়েছে। এই কিট তৈরির কাঁচামাল আসবে ইংল্যাণ্ড থেকে। কাঁচামাল আসলে আমরা প্রোডাকশনে যেতে পারবো। পরে তা বাজারে আসবে। প্রথম দফায় এক লাখ কিট উৎপাদন করা হবে। ১০ লাখ টাকার কাঁচামাল লাগবে। প্রতিটি কিটের দাম হতে পারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মতো মধ্যে। এই কিট সরকার, জনসাধারণ এবং হাসপাতালের নিকট বিক্রি করা হবে। তিনি আরো জানান-তাদের নিকট থেকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যে কিট কেনার পর তা ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকার বেশী দামে বিক্রি করা ঠিক হবেনা।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, এ ধরনের কিট উৎপাদন করতে হাইটেক ল্যাব প্রয়োজন। ইতিমধ্যে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক একটি হাইটেক ল্যাব স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ জানান- প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের গবেষক দল ফেব্রুয়ারি থেকে এই কিটের ডিজাইন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। এ প্রযুক্তির ব্যাপারে পুরো গবেষক দলের সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

এর আগে ২০০৩ সালে র‌্যাপিড ডট ব্লাট সার্স পিওসি কিট তৈরি দলের সদস্য ছিলেন ড. বিজন কুমার শীল। ওই কিটটি সিঙ্গাপুরে পেটেন্ট করা হয়েছিল। এবার করোনার কিট তৈরির জন্য গঠিত গবেষক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. বিজন কুমার শিল। তার সাথে অন্যরা হলো ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রঈদ জমির উদ্দিন এবং ড. ফিরোজ আহমেদ।