* সেদিন হত্যার পরিকল্পনা নিয়েই আমার উপর হামলা হয় : এটিএম কামাল
মিরর বাংলাদেশ : ২০১২ সালের ১৭ মে বিএনপির ডাকা হরতালের দিন নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপি’র একটি মিছিলে অতর্কিত ভাবে পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার শিকার হয়েছিলেন বর্তমান মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। সেদিনের পুলিশের সেই বর্বরোচিত হামলার দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় ও পরের দিন পত্র-পত্রিকার পাতায় দেখে সারাদেশের মানুষ হতবাক হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় এটিএম কামাল গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ দিন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৭ মে ২০২০ সেই ঘটনার ৮ বছর।
সেই দিন বৃহস্পতিবার সকালে হরতাল চলাকালে শহরের ডিআইটি এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলে তৎকালিন সদর থানার দারোগা নূর মোহাম্মদ অতর্কিত নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের ওপর বেধড়ক লাঠিপেটা করে। কামালকে পেটাতে পেটাতে একপর্যায়ে সে মিছিলের ব্যানারে পেচিয়ে কামালের পায়ের ওপর পড়ে যায়। এরপর আরো ক্রদ্ধ হয়ে কামালকে দফায় দফায় নির্মম ভাবে প্রহার করে সে।
ঘটনার পরে নির্যাতনকারী দারোগা নূর মোহাম্মদের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যা করেছি উপরের নির্দেশেই করেছি। আমার উপর নির্দেশ ছিল যোকোন ভাবেই হোক তাকে থামিয়ে দেওয়ার।” তার এই বক্তব্য সে সময় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছিল। পুলিশের এই নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে ওই দিনই জেলা ও নগর বিএনপি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং তারপরের দিন নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেদিনের সেই স্মৃতি মনে করে এটিএম কামাল বলেন, হত্যার পরিকল্পনা নিয়েই পুলিশ আমাকে হামলা করেছিল। লাঠি দিয়ে মাথায় একের পর এক আঘাতের পরও আল্লাহর অশেষ রহমতে ঐ দিন আমি প্রানে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিš‘ মাথায় ও কানে আঘাতজনিত কারনে চোখ সহ কিছু শারীরিক ক্ষতি আমার সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে রইল।
তিনি আরো জানান, মৃত্যুকে কখনো ভয় পাই নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগনের মৌলিক অধিকার ও গনতন্ত্র পনরুদ্ধারের আন্দোলনে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। শত নির্যাতন, জেল-জুলুম ও হামলা-মামলার পরও রাজপথ ছাড়িনি। রাত যত আধারই হোক, ভোরের আলো একদিন ফুটবেই। মজলুমের হাহাকারে জালেমের জুলুম শেষ হবেই ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ২০১২ সালের ১৭ মে হরতাল ঘোষনা করেছিল বিএনপি। সেই দিন হরতালের সমর্থনে সকাল ১১টায় নগর বিএনপি মিছিল বের করলে মিছিলটির নেতৃত্বদানকরী নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সহ নেতৃবৃন্দদের পুলিশ বেধড়ক লাঠি পেটা করে।