২ শতাধিক সিএনজি ও অটো রিকশা আটক, ৫

252

রিপন মাহমুদ আকাশ:

ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম- সিলেট মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি ও লেগুনা। মহাসড়কে এসব গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচলের ফলে প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছে। মনে হয়, পুরো সড়ক যেন থ্রি-হুইলারের দখলে। পুলিশের সামনে দিয়ে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি, লেগুনা অবাধে চলছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ‘নিষিদ্ধ থ্রী- হুইলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২২ মহাসড়ক’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হাইওয়ে পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে তারা নড়েচড়ে বসে।

পরে শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার আটকের
অভিযানে নামে হাইওয়ে পুলিশ। ওই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি পয়েন্টে আটক অভিযান চলে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।

হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, হাইওয়ে পুলিশের উর্ধতন মহলে নির্দেশে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্ব শিমরাইল ক্যাম্প ও গাউছিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা এক যোগে অভিযান চালিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের সাইনবোর্ড, সানারপাড়, শিমরাইল মোড় , মদনপুর, মোগড়াপাড়া, তারাব, বরপা, রুপসী, ভুলতা ও গাউছিয়া এলাকায় ২ শতাধিক নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও সিএনজি আটক করে।

পরে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুসারে দুই হাজার পাঁচ শত টাকা প্রতি গাড়ীকে জরিমানা করে মামলা দেওয়া হয়। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, হাইওয়ে পুলিশের হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের ১০ টি পয়েন্টে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।
২ শতাধিক নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও সিএনজি আটক করে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মহাসড়কে অযান্ত্রিক যান মুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

অভিযানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই মশিউর রহমান, গাউছিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই সালাউদ্দিন, টিআই ওমর ফারুক ও টিআই মেহেদী হাসান প্রমূখ।