৮ দফা দাবীতে রাজউক চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগন

66
Oplus_131072

* বৃহত্তর কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামার হুমকী

মিরর বাংলাদেশ :

নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ পূর্নবহালের দাবীতে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগন।

বৃহস্পতিবার( ১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজউকের চেয়ারম্যানের দফতরে গিয়ে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে ৮ দফা দাবী তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিকগন।

স্মারকলিপিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভ’মি মালিকগন উল্লেখ করেন, বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম এবং এর চাহিদা ও যোগান দেয়ার সহযোগীতা করা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মূল কাজ। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ভূমির শ্রেণীবিন্যাস ও এর সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর। কিন্তু‘ একে পাশ কাটিয়ে নির্মাণ বিধিমালার বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের কতিপয় সুবিধাবাদী লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রনয়ণ করে নগরবাসীর বাসস্থানের অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে, সৃষ্টি করা হয়েছে বৈষম্য, ঢাকা শহরের ২০ শতাংশ এলাকায় উচ্চ ভবন নির্মাণ করা গেলেও অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকায় তার অর্ধেক উচ্চতা ও আয়তনের ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ মানুষ বিগত দুই বছর যাবৎ কোন নকশা অনুমোদন হচ্ছে না বা ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। এতে ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। তাই তাদের ৮ দফা দাবী জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে শিগগিরই তা বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগন বৃহত্তর কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে বলে তাতে উল্লেখ করা হয়।

দাবীর মধ্যে রয়েছে, সকল বৈষম্য অপসারণ করে এবং ড্যাপকে ড্যাপের জায়গায় রেখে নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ চালু করা, ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল-বিল, নদী-নালা, রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি, আবাসিক স্থান ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ড্যাপ সংশোধন করা, মানুষের জীবন রক্ষার্থে ঢাকা শহরের সকল মহল্লার রাস্তাকে ২০ফিটে রুপান্তরিত করা, জরুরী ভিত্তিতে ২০০৮ এর বিধিমালা মোতাবেক ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেওয়া, ধানী জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান বন্ধ করা, নির্মাণ অনুমোদন সহজীকরণ করা, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও রাজউকের হয়রানী বন্ধ করা।
এ সময় ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের পক্ষে আহবায়ক কমিটির পক্ষে আহবায়ক প্রফেসর ডা. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুর রহমান, হুমায়ুন কবীর, আব্দুর রশীদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।