অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় চলমান : প্রধানমন্ত্রী

180

মিরর বাংলাদেশ : স্বাধীনতাযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথ ধরে অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় চলমান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শুক্রবার ভোরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য লেখেন।
তিনি লেখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫১ বছর পূর্ণ হলো। মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
‘আমি পরম শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছাকে। আমার দুই মুক্তিযোদ্ধা ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে। আমার ১০ বছরের ছোট ভাই রাসেলকে। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আরও যারা শাহাদাতবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর-রাজাকারদের হাতে লাঞ্ছিত লাখো মা-বোনের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা। কোনো আত্মদান বৃথা যায় না।
মন্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথ ধরে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় চলমান। ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।
‘২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাঙালি গড়ে তুলবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বিশ্বসভায় মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
এদিকে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন। ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্যারেড চত্বরে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ও নাতনি সামা হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। প্যারেডে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের মার্চ পাস্টের পর যান্ত্রিক বহরে সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সমরাস্ত্রসমূহ প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে মঞ্চের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আনুষ্ঠানিক একটি মোটর শোভাযাত্রা, অশ্বারোহী এবং মিলিটারি পুলিশের দল স্কট করে তাকে মঞ্চে নিয়ে যায়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকষ দল মঞ্চের সামনে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানায়। তিনি সালাম গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি উদযাপন করে ৫২তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের। ##