সংবাদ সম্মেলনে বিদিশা সিদ্দিকসহ এরশাদ পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
এরিক তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিযয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান এবং চাচা জিএম কাদেরের শাস্তিও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিন মিনিটের বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করতে গেলে এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রুবায়েত হোসেন দ্রুত এরিককে সংবাদ সম্মেলনস্থল থেকে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসিয়ালি পেজে এরিক ও বিদিশার নিউজ শেয়ার করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্রে জিএম কাদের দায়ী। এরিককে সরাতে পারলে তিনি ট্রাস্টি সম্পদ দখল করতে পারবেন। জিএম কাদের এরশাদ পরিবারকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি বলেন, প্রয়াত এরশাদের জীবদ্দশায় এরিকের জন্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করলেও এখন অসৎ এগুলো করা হচ্ছে। এরশাদ ক্ষমতা থাকার পরও ২৭ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কেউ তার বিরুদ্ধে টাকা প্রচারের অভিযোগ করেন নাই। তার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছিলো প্রত্যেকটিতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলো। আজকে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বিদিশার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে কেনো প্রতিবাদ জানালেন না? আইনি পদক্ষেপ কেনো নেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাস্টির চেয়ারম্যান বলেন, করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে আমরা আইনী পদক্ষেপ নিবো।
এরিকের দুইটি জন্ম তারিখ নিয়ে প্রশ্ন করলে মামুন বলেন, সবই ষড়যন্ত্র। জীবত এরশাদ এরিককে নিজ সন্তান বলেই তার নামে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছেন। এরপর বিদিশা ও এরিককে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিয়ে সংবাদ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান কাজী মামুন।