ঋণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট বারে ২৮০০ আইনজীবীর আবেদন

565

মিরর বাংলাদেশ   :করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে আদালত বন্ধ থাকায় অন্যান্য পেশাজীবীদের মত আইনজীবীরা কষ্টে আছেন। সমস্যাগ্রস্ত আইনজীবিদের ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই হাজার আটশোর বেশি সদস্য ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। এখন আবেদন যাচাই-বাছাই করে আগামী ১০ দিনের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল  এ তথ্য  জানান।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, দুই হাজার আটশোর অধিক আইনজীবী আবেদন করেছেন। ঋণ দেয়ার জন্য এখন আমরা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করব। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজেদের সদস্যদের ঋণ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবেদনের সমসয়সীমা ছিল ২৫ এপ্রিল। করোনা পরিস্থতিতে গত ২৬ মার্চ সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে ১৩ মার্চ থেকেই অবকাশকালীন ছুটি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের। এর মধ্যে সরকার ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিলে আদালতের ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হয়। ফলে দীর্ঘ কর্মহীনতায় কঠিন সময় পার করছেন আইনজীবীরা।
সার্বিক পরিস্থতিতে ইতোমধ্যেই আইনজীবীদের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে ৬০ কোটি টাকার আবেদন জানিয়ে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার।
আইনমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনাজনিত কারণে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় বিজ্ঞ আইনজীবীরা নিজদের পেশা পরিচালনা করতে না পারায় কঠিন অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছেন। আইনজীবীরা কোর্ট ফি দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ কঠিন অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং অন্য আইনজীবী সমিতির সদস্যদের কল্যাণার্থে সরকারের তহবিল থেকে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আপনার (আইনমন্ত্রী) মাধ্যমে সরকারের কাছে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তরুণ, সমস্যাগ্রস্ত এবং অসুস্থ আইনজীবীদের সহায়তা দিতে সরকার ও বার কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ আইনবিদদের। তাদের মতে,
দেশে আইন পেশায় ৫৫ হাজারেরও বেশি আইনজীবী রয়েছেন। এদের একটা বড় অংশ তরুণ বা নবীন আইনজীবী। এছাড়া প্রবীনদের মধ্যে অনেক অসুস্থ আইনজীবী রয়েছেন। আর সমস্যাগ্রস্ত বা নিডি আইনজীবিদের সংখ্যাও কম নয়। করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যে এসব আইনজীবিদের অর্থনৈতিক অনুদান দেয়ার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর প্রতি তারা আহ্বান জানান।