কবি আসাদ বিন হাফিজ আর নেই

377

মিরর বাংলাদেশ :

অনিবার্য বিপ্লবের কবি আসাদ বিন হাফিজ
দেশের ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, ছড়াকার, সাহিত্যিক ও প্রকাশক কবি আসাদ বিন হাফিজ আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন কবির ছোট ছেলে আহমদ শামিল।
এর আগে শনিবার রাতে স্ট্রোক করে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

আসাদ বিন হাফিজ ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মা জুলেখা বেগম।

তিনি আদর্শিক দিক দিয়ে কবি ফররুখ আহমদের অনুসারী। তার সাহিত্যে বাংলার মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণ এবং বিপ্লবের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃজনশীলতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তার সাহিত্যে বিপ্লবী চিন্তা-চেতনারও প্রকাশ ঘটেছে। তিনি ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।
কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সম্পাদনা ইত্যাদি সাহিত্যের সব শাখাতেই কবি আসাদ বিন হাফিজ রেখেছেন তার অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর। তিনি প্রায় ৮১টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

কবির বর্ণাঢ্য জীবন:

আসাদ বিন হাফিজ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। গীতিকার ও শিশু সাহিত্যিক হিসাবেও রয়েছে তার সমধিক পরিচিত। তিনি আদর্শিক দিক দিয়ে ফররুখ আহমদের অনুসারী। তার সাহিত্যে বাংলার মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণ এবং বিপ্লবের অনুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃজনশীলতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ১৯৫৮ সালের ১লা জানুয়ারী গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মাতা জুলেখা বেগম। কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯৮৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।

কবির সাহিত্য রচনার ভাষা অত্যন্ত সহজ-সরল, দুর্বোধ্যতামুক্ত। এ কবির কাব্যসৌধ গড়ে উঠেছে সুবোধ্যতার ভিতের ওপর। কবির শ্রেষ্ঠ রচনা হল ‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’। এই গ্রন্থে কবিতা ‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ কবিতাটি সমগ্র বাংলা সাহিত্যের মধ্যেই একটি অন্যতম সেরা কবিতা। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সম্পাদনা ইত্যাদি সাহিত্যের সব শাখাতেই কবি আসাদ বিন হাফিজ রেখেছেন তার অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর। এই পর্যন্ত তাঁর আশিটির অধিক গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে।

কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ১. কলম সেনা পুরস্কার (১৯৯৪) ২. কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এম.ইউ আহমেদ পুরস্কার (১৯৯৭) ৩. বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ পুরস্কার (১৯৯৭) ৪. ছড়ার ডাক পদক ও সম্মাননা (২০০৪)  ৫. মেলডি শিল্পগোষ্ঠী পদক (২০০৪) ৬. কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার (২০০৪) ৭. গাজীপুর সংস্কৃতি পরিষদ কৃতি সংবর্ধনা (২০০৪)  ৮. মরহুম ওমর ফারুক সম্মাননা স্মারক ‘কাব্যরত্ন’-২০১৬  সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।