করোনা নিয়ে সবাই সতর্ক করছে ,শুনছে না অনেকেই

182

মিরর বাংলাদেশ : দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও আট হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । একই সময়ে নতুন ১২ হাজার ১৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।

তবে করোনা নিয়ে সর্তক বাণী সবাই শুনাচ্ছে মানছেনা কেউই। করোনা সতর্কতা উপেক্ষা করে গ্রামের বাড়ির ছুটছে মানুষ। গরুর হাটগুলোতেও স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে এরই মধ্যে হাসপাতালের সব শয্যা রোগীতে প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই ঈদের কয়েকটা দিনের মধ্যে আশা করব, যাতে সংক্রমণটা বৃদ্ধি না পায়। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় ফিরবেন। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ ধর্মীয় একটা বিষয় থাকে, জীবন-জীবিকার একটা বিষয় রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই (লকডাউন শিথিল করা) নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করব, ঈদের এই কয়েকটা দিন আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নতুন আরও চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ হচ্ছে। তবে আমরা যতই নিয়োগ দেই না কেন, যদি সংক্রমণে হার তিন-চারগুণ বেড়ে যায়, আমাদের হাসপাতালগুলোতে ১০ থেকে ১৫ হাজার শয্যার পরিবর্তে ৪০ হাজার করোনা রোগী আসে, তখন সবাইকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না।

এদিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, একমাত্র আল্লাহই পারেন করোনা ভাইরাস থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দিতে। কারণ এই ভাইরাস মোকাবিলা এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি ইমামদের মাধ্যমে আল্লাহ্’র কাছে পানাহ্ চান যেন আল্লাহ আমাদেরকে এই মহামারি থেকে পরিত্রাণ দেন’।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইমামদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনার জন্য উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইমামদেরকে ডাকা হয়। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, জীবন-জীবিকার মধ্যে ব্যালেন্স আনা সরকারের কাজ। আর সেটা করতে গিয়েই লকডাউন বিষয়ে প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতায় আমরা করোনার বড় ধরনের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছি। বড় বড় রাষ্ট্র যখন করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছে ঠিক তখনই শেখ হাসিনা আমাদের জন্য ঠিকা কিনে এনেছেন।
এ সময় ইমামদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার  রুমানা আক্তার, মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আসাদ আল হাবিব, খড়মপুর শাহ্পীর কল্লা শহীদ দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যল মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, ইমাম সমিতির সভাপতি কাজি মাঈনুদ্দিন।।