গ্যাস-বিদ্যুতের দাম : কমানোর দাবীর মূখে বাড়ানোর উদ্যোগ

280

মিরর বাংলাদেশ : যখন জ্বালানি তেলের দাম কমানোরররদাবি মানুষের মুখে মুখে তখন গ্যাস ও পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিল সরবরাহকারি কোম্পানিগুলো। শুধু উদ্যোগই নয় বাস্তবতার সাথে কোন মিল না রেখেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়া দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। পরে সংশোধন করে, প্রয়োজনীয় ত্য উপাত্তসহ আবার আবেদন করেছে।

কোম্পানিগুলো বলছে, বেশিদামে কিনে কম দামে বিক্রির জন্য পেট্রোবাংলার লোকসান হচ্ছে। সরবরাহ কোম্পানিগুলো লাভ করলেও পেট্রোবাংলাকে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সবমিলিয়ে খরচের চেয়ে অর্ধেক দামে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। আর ব্যবসায়ি থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের দাবী এই মুহুর্তে যেন কোনভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো না হয়। এতে অর্থনীতিতে নতুন করে চাপ তৈরি হবে। অন্য কোন উপায়ে সমন্বয় করে হলেও গ্যাসের দাম বাড়ানো বন্ধ করতে হবে। এতে মূল্যস্ফিতি হবে
এই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বাড়ানো উচিত কিনা, তা নিয়ে মতভিন্নতা রয়েছে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। বর্তমানে প্রতিদিন তিন হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাংলাদেশে সরবরাহ করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তার মধ্যে ২ হাজার ৩০০ ঘনফুট গ্যাস দেশীয় উৎস থেকে সরবরাহ করা হয়। বাকি ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি গ্যাস আমদানী করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটায় এলএনজি দিয়ে । তার মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কেনা হয় ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ৬ থেকে ১০ ডলার মূল্যে। স্পট মার্কেট থেকে বাকি ১০০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি গ্যাস কেনা হয়, যেটির দাম ওঠানামা করে। ফলে এই স্বল্প পরিমাণ গ্যাসের জন্য এখনই এতো বেশি মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিটিএমএ এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সরকারের কাছে বলব এই মুহুর্তে যেন কোনভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো না হয়। এতে অর্থনীতিতে নতুন করে চাপ তৈরি হবে। অন্য কোন উপায়ে সমন্বয় করে হলেও গ্যাসের দাম বাড়ানো বন্ধ করতে হবে। এতে মূল্যস্ফিতি হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কার্যাদেশ নেওয়ার পর উৎপাদন খরচ বাড়লে লোকসান হয়। তাই এখনই কোনভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। এতে শুধু পোশাকশিল্প নয় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বাধাগ্রস্থ হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, বিইআরসি নির্ধারণ করা অনুযায়ি দেশে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় দাম ৯ টাকা ৩৭ পয়সা। আর প্রতি ঘনমিটারে পেট্রোবাংলার খরচ দেশীয় আর আমদানি করা মিলিয়ে প্রায় ২০ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতি ইউনিটে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১১ টাকা ১৩ পয়সা। পেট্রোবাংলা বর্তমানে অর্ধেকেরও কম মূল্যে গ্যাস বিক্রি করছে। দেশীয় ও আমদানি করা গ্যাসের বছরে মোট বিক্রয়মূল্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর পেট্রোবাংলার খরচ (কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত মার্জিনসহ) ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ফলে বছওে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি প্রয়োজন হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরেকটি এফএসআরইউ স্থাপিত হলে আমদানি করা এলএনজির পরিমান বাড়বে। তখন খরচ আরও বাড়বে।
এলএনজি আমদানিতে খরচ বেড়ে যাওয়া, আইওসি থেকে বেশি দামে গ্যাস নিয়ে কম দামে বিক্রি, দেশীয় কোম্পানির পরিচালন খরচ বেড়ে যাওয়া, আমদানি ও ভোক্তা উভয় মূল্য সংযোজন কর দেয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অল্প অল্প করে গ্যাসের দাম বাড়ছে। করোনার টিকা দেয়া শুরু হওয়া থেকে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে থাকার সময় থেকে জ্বালানি চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সরবরাহ সেভাবে বাড়েনি। তাই দাম বাড়তি।
দেশে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় মূল্য ৯ টাকা ৩৭ পয়সা। খরচ দেশীয় আর আমদানি করা মিলিয়ে প্রায় ২০ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতি ইউনিটে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১১ টাকা ১৩ পয়সা। দেশীয় ও আমদানি করা গ্যাসের বছরে মোট বিক্রয়মূল্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর পেট্রোবাংলার খরচ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি
গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম। তিনি এনার্জি বাংলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে এটা সত্য। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সচল রাখতে, মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন উপায় আছে কিনা তা দেখতে হবে। তবে ভর্তুকি দেয়ারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে।
দেশে যে গ্যাস ব্যবহার হয় তার ৭৮ শতাংশ দেশের গ্যাস, নিজস্বভাবে উৎপাদন হয়। যার দাম কম, প্রতি ইউনিট ২ টাকা ৩০ পয়সা। ১৪ শতাংশ কাতার আর ওমান থেকে নির্ধারিত দামে আমদানি করা হয়। যার দাম পড়ে ইউনিট প্রতি ৩৬ টাকা। আর পাঁচ শতাংশ গ্যাস উচ্চমূল্যে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন যে দাম থাকে সেই দামে খোলা বাজার থেকে কেনা হয়। তবে তা সব সময় নয়। যখন প্রয়োজন বেশি হয় তখন এভাবে গ্যাস বা এলএনজি আনা হয়।
বিইআরসিতে বাড়ানোর প্রস্তাব
গ্যাসের দাম বাড়াতে ইচ্ছে মত মনগড়া প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পসহ সব গ্রাহকের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরবরাহকারি কোম্পানিগুলো। আবাসিকে এক চুলা এখন আছে ৯২৫ টাকা। এটা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা এবং দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া আবাসিকে প্রিপেইড মিটারে প্রতি ঘনমিটার ১২টাকা ৬০ পয়সা থেকে থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সিএনজিতে প্রতি ঘনমিটার ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬ টাকা ৪ টাকা, হোটেল রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৯ টাকা ৯৭ পয়সা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৯ পয়সা, চা শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৬৬ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, নিয়ম, অনুযায়ি প্রস্তাব এলে কারিগরি কমিটি গঠন করে তা মূল্যায়ন করা হবে। তারপর গণশুনানি হবে। তারপর নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

জিডিএফ’র তিনহাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

এদিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের (জিডিএফ) তিন হাজার কোটি টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত বছরের শেষ দিকে কমিশনের এক বৈঠকে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। গ্রাহকের টাকায় গড়ে ওঠা এ অর্থে দেশের তেল গ্যাসের অনুসন্ধান উন্নয়ন কাজের জন্য পৃথক নীতিমালাও রয়েছে।
কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আপাতত পেট্রোবাংলাকে এই অর্থ তাদের তহবিল থেকে ফেরত দিতে হবে। এরপর অর্থ বিভাগ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলা ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।
জিডিএফ-এর এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে গ্রাহকের অর্থে গড়ে ওঠা এই তহবিল পেট্রোবাংলার কাছেই থাকার কথা। কীভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চলে গেলো, সেটি বিস্ময়ের।
জিডিএফ নীতিমালা অনুযায়ী, গ্যাসখাতের কোম্পানিগুলোতে যে বিনিয়োগ হয়েছে সেখানকার লাভজনক প্রকল্পগুলো থেকে টাকা ফেরত আনতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলছে কমিশন। এখনও জিডিএফ থেকে অর্থ নিয়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেগুলো লাভজনক হলেও কেউ আর টাকা ফেরত দেয় না।
মাত্র ২ ভাগ সুদে জিডিএফ থেকে প্রকল্প সহায়তা নিয়ে গ্যাসখাতের কোম্পানিগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। দেখা গেছে জিডিএফ গঠনের আগে গ্যাস কোম্পানিগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার কিংবা দাতা সংস্থার দিতে তাকিয়ে থাকতে হতো।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পেট্রোবাংলায় গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে মুনাফাসহ জমা করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই তহবিলের অর্থায়নে ২৫টি সমাপ্ত প্রকল্পের প্রকৃত ব্যয় ছিল ৩৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত বাপেক্স, বিজিএফসিএল (বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড) এবং এসজিএফএল (সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড) এর অনুকূলে ৪ হাজার ৯১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে বর্তমানে স্থিতির পরিমাণ ৫ হাজার ৪০৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এ পর্যন্ত এ তহবিল থেকে বাপেক্স-এর ২৫টি, বিজিএফসিএল-এর ৯টি এবং এসজিএফএল-এর ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসির এক সদস্য জানান, ‘জিডিএফ ফান্ডের টাকা ফেরত আনার বিষয়ে আমরা বার বার তাগাদা দিচ্ছি। এ ফান্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাওয়ার কথা নয়। এই টাকা পেট্রোবাংলা দেখিয়েছিল উদ্বৃত্ত হিসাবে। এই কারণেই সরকার সেটা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে যায়। যদি বলতো টাকাটা গ্যাস বিলের সঙ্গে দেওয়া গ্রাহকের চাঁদার টাকা, তাহলে তা নিতো না। তারা একটা পলিসি করার কথাও বলেছিল। সেখানে আমরা বলেছি পেট্রোবাংলাকে প্রথমেই এই কথাটা প্রত্যাহার করতে হবে যে, জিডিএফ কোনও উদ্বৃত্ত অর্থ নয়, এটা গ্রাহকের টাকা, এই টাকা গ্যাস উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য গ্রাহক দিচ্ছে।
জানা যায়, গত ছয় মাসে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা এভাবেই পেট্রোবাংলা জমা দিয়েছে। এর আগেও টাকা কোষাগারে জমা হয়েছে বলে জানা যায়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে কিছু পরামর্শে জানানো হয়, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে যেসকল প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে, জিডিএফ নীতিমালা অনুযায়ী তার মধ্যে লাভজনক প্রকল্পগুলো থেকে অর্থায়ন করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে পেট্রোবাংলার উদ্যোগ প্রয়োজন।
পেট্রোবাংলা একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই-বাছাইপূর্বক তহবিলের অর্থ সুদসহ ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতে পারে। এ ছাড়া জিডিএফ থেকে সরকারি কোষাগারে জমাদান করা তিন হাজার কোটি টাকা পেট্রোবাংলা আপাতত নিজস্ব তহবিল থেকে নীতিমালা অনুযায়ী সুদসহ পুনর্ভরণ করতে পারে। পরে সরকারি কোষাগারে জমা করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলা ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে আলোচনাপূর্বক সমাধান করতে পারে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা পেট্রোবাংলাকে এই টাকা ফেরত আনার জন্য চিঠি দিয়েছি বেশ কয়েকবার। তারা জানিয়েছে অর্থবিভাগকে তারা বিষয়টি অবহিত করেছে। এখন অর্থবিভাগ থেকে উত্তর পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবো।’