দুর্বৃত্তদের হামলায় আশংকাজনক অবস্থা ঘোড়াঘাট ইউএনওর

453

মিরর বাংলাদেশ :

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সরকারি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। হাতুড়ির আঘাতে তার মাথায় দেড় ইঞ্চি পরিমাণ গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের অধীনে চিকিৎসাধীন। রাত ৯টায় তার মাথায় অস্ত্রোপচার করার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে ঘোড়াঘাট ইউএনওকে গুরুতর আহত অবস্থায়  বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়।

এর আগে বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাটে নিজের সরকারি বাংলোয় হামলার শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা।

এরপর তাকে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন। তবে ইউএনওর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হলো।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান তোফায়েল আহমেদ ভুইয়া বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার বাম পাশে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

সেখানে দেবে যাওয়ায় ডান হাত ও পা অবশ হয়ে গেছে। এছাড়া মাথার পানি গহ্বরে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷ বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার নিরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউএনওকে ঢাকায় পাঠানো হলো। এখনো হামলার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত করে জানা যাবে, কারা এ হামলায় জড়িত।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম (৩৫) ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে যখম করার ঘটনায় নৈশ্যপ্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইতোমধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর আবাসিক ভবন পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-১৩ প্রধানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।

জানা যায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাথরুমের ভেনটিলেটর দিয়ে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে কোপাতে শুরু করে। একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়েও তার মাথায় আঘাত করা হয়। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও মারধর করে।