জনগণ আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনেও ভোট দেবে : শেখ হাসিনা

269

মিরর বাংলাদেশ : আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আশা করি জনগণ আমাদের ভোট দেবে। কারণ, একটা দেশকে আমরা বদলে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সভায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংকটে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আমরা স্থিতিশীল রেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯৪ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২৫৯১ মার্কিন ডলার।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আজকে আমরা ক্ষমতায় বলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সব সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আমরা স্থিতিশীল রেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সব সুযোগ-সুবিধা আমরা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না। শুধু তাই নয়, শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা ক্ষমতায় বলেই মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৯১ ডলার
চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৯১ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যা দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে চুড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা বা ২৫৯১ মার্কিন ডলার। যা সাময়িক হিসাবে ছিল দুই লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা বা ২৫৫৪ মার্কিন ডলার।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণ হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো আয় ও রফতানি আয় বৃদ্ধির কারণে চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে’। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল প্রত্যাশিত। এখানে কোনো ম্যাজিক নেই।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবেশ দূষণরোধ ও দুর্গন্ধ ঠেকাতে শহরের বাইরে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকার প্রধান এই নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।
সভায় ৩৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং মেকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিটি করপোরেশনের বর্জ্য শোধনাগার লোকালয়ের বাইরে স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলোতে দক্ষ চালক নিয়োগের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির ময়লার গাড়িচালকরা বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। এতে আমরা সবাই দুঃখ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো অবগত। এজন্য তিনি বলেছেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সিটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলোতে যেন দক্ষ চালক নিশ্চিত করা হয়। যেসব গাড়ি কেনা হয়েছে সেগুলোর চালকদের বিশেষ ট্রেনিং দিতে হবে। এসব ঘটনা (দুর্ঘটনা) আর দেখতে চাই না।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব শোধনাগার শহরের বাইরে স্থাপন করতে হবে। সেগুলোতে মডার্ন টেকনোলজি যুক্ত করতে হবে। কেমিক্যাল এবং ফিজিক্যাল দুই ক্ষেত্রেই সর্বশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, একনেক সভায় ‘চট্টগ্রাম-কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন’ নামে ২৬৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য এলাকায়ও এসব ফার্ম স্থাপন করতে হবে। এতে বেসরকারি খাতে প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে। এই শিল্প এগিয়ে যাবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মতোই বলেছেন, যেকোনও প্রকল্পের কাজ যেন সঠিক সময়ে শেষ হয়