রায়পুরে জনপ্রিয় নেতার বিরল দৃষ্টান্ত…..

291

মিরর বাংলাদেশ :  শত শত নেতাকর্মী তাকে জানাতে এসেছেন ফুলেল শুভেচ্ছা। আওয়ামীলীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ফুল নিয়ে নেতা কর্মীদের ভিড়। কিন্ত তুমুল জনপ্রিয় নেতা ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন নি। আগত লোকজন অনেকটা হতভম্ব। কি হয়েছে  নেতার ?  জানার আগ্রহ অধীর। এভাবে চলতে থাকে ৩ দিন।  অবশেষ নেতা কেন ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহন করেনি তা স্পষ্ট করলেন নিজ মুখে। বললেন,”আমি সঠিক ভাবে পালন করতে পারি, তাহলে এই পদ থেকে যেই দিন বিদায় নিবো সেইদিন ফুলের শুভেচ্ছায় বিদায় দিবেন।”

তবে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য তার ভালোবাসার কোন কমতি ছিলো না কখনো।

জনপ্রিয় এ নেতা হলেন লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া।

গত ৩১ মে সম্মেলনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি এ কমিটি ঘোষণা করেন।

ঘোষিত কমিটিতে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। আর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান। ১ম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া।

আওয়ামীলীগের  তৃনমুল থেকে উঠে আসা মারুফ বিন জাকারিয়া জাকারিয়া রায়পুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। রাজনীতিতে তার মেধা শ্রম, ত্যাগ, অবদান যেমন অনেক, তেমনি মানবতার সেবায় তিনি রায়পুরের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে জীবনবাজি রেখে তিনি রায়পুরের মানুষের দ্বারেদ্বারে ছুটে গেছেন। বিপদে পড়া মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এ মুক্তিযোদ্ধার সম্তান।

আজ ও রায়পুরের মানুষ সেই দু:সময়ে মারুফের অবদানের কথা স্মরণ করে।

এদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর শুক্রবার নিজের ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটার্স দিয়েছেন মারুফ বিন জাকারিয়া। তিনি লিখেছেন, ……

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।

গত ৩ দিন মনে হয় অনেক গুলো মানুষের মনে কষ্ট দিয়েছি । অনেকেই বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি।

আমার মতে রাজনৈতিক পদ পদবী একটি বাড়তি দায়িত্ব , উপভোগ করার মত কিছু না। আর এই পদবীর সাথে আসা ফুল, সংবর্ধনা, সন্মান সব কিছুই আবার পদের সাথে চলে যায় । তাই গত ৩দিন যারা আমার জন্য ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন আমি কোন ফুল গ্রহন করিনি ।অনেকে হয়তো কষ্ট পেয়েছেন বা আমাকে ভুল বুজেছেন । উনাদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য হলো, সংগঠন আমাকে যেই দায়িত্ব দিয়েছে তা যদি আমি সঠিক ভাবে পালন করতে পারি, তাহলে এই পদ থেকে যেই দিন বিদায় নিবো সেইদিন ফুলের শুভেচ্ছায় বিদায় দিবেন । এখনো কাজই শুরু করলাম না কিন্তু গোলাপের পাপড়ী বিছানো পথে হাঁটবো তা কিছুটা বেমানান। তাই আমি এসব ভাসমান ভালোবাসায় বিশ্বাসী না।যদিও সবার ফুল ভালোবাসা এক নয় । অনেক আপনজনের হৃদয়ের স্বার্থহীন ভালোবাসা, আবেগ, স্নেহ আমাদের পথচলাকে মসৃন করে ।ভাসমান ভালোবাসায় নিমজ্জিত না হয়ে প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ গুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই ।আমি কর্ম দিয়েই আপনাদের হৃদয়ে স্হান করে নেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশআল্লাহ । আপনাদের সকলের প্রয়োজনে আমাকে সবসময় পাশে পাবেন । চেষ্টা করবো উপকার করতে না হয় ক্ষতির কারন হবোনা ❤️