ধর্ষকরা সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

353

মিরর বাংলাদেশ : সারাদেশে যারা ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং এ কারণেই তারা আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতিগুলো চলছে, এই পরিস্থিতি সভ্য সমাজের নয়। এটা সম্পূর্ণ একটি অসভ্য সমাজে পরিণত হয়েছে। যে সমাজে কোন নৈতিকতা নেই, যে সমাজে কোন বিচার নেই, যে সমাজে কোন আইনের স্বাধীনতা নেই, আজকে আমরা সেই সমাজে পরিণত হয়েছি। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আজকের আওয়ামী লীগ সরকার। তারা এই সমাজে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে যারা ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং এ কারণেই তারা আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার জনগণের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের একটাই লক্ষ্য, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। ১৯৭১ সালে আমরা যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। কিন্তু এই সরকার আমার সব স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার শুরু থেকে একটা কাজ করছে যে, দেশের বিভিন্ন মত প্রকাশের লোক, ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে। আজ কেন আমাদের দেশের নারীদের নিরাপত্তার অভাব? কেন দেশের শিশু নির্যাতিত হচ্ছে? এর একটাই কারণ এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এ সরকার তাদেরকেই মদদ দেয়, যারা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য গুন্ডামি করে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা ইচ্ছা তা করবে। এ সরকার শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এভাবে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে