মিরর বাংলাদেশ : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর থেকে পূর্বের ভাড়ায় ফিরতে গণপরিবহন মালিকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
বুধবার রাতে (২৬ আগস্ট) পরিবহন মালিকদের এক জরুরি বৈঠকে এমন আলোচনা হয় বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এছাড়া সারা দেশে গণপরিবহন থেকে কীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে বলেও জানান এই পরিবহন নেতা।
তিনি বলেন, ‘২৬ আগস্ট আমাদের মালিকদের নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণপরিবহনে কীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পাশাপাশি একটি নীতিমালা তৈরির কাজও করছি। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে পূর্বের ভাড়ায় ফেরার বিষয়ে যে কথা জানিয়েছেন, আমরা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুত রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ”আমরাও চাই ‘যতো সিট, ততো যাত্রী’ এই হিসেবে পরিবহন পরিচালনা করার জন্য। এজন্য গত ১৩ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে আমরা একটি পত্রও দিয়েছি।”
এর আগে, গত ৩১ মে সরকার আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাসহ সক বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মোট আসনের অর্ধেক যাত্রীকে নিয়ে যানবাহন চলাচলের শর্ত হিসেবে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়। কিন্তু সেসময় যানবাহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা না রাখায় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা মুখে পড়ে গণপরিবহন।
এবিষয়ে গত ২৫ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক এবং দাঁড়ানো অবস্থায় যাত্রী পরিবহন না করার শর্তে গণপরিবহণের আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।’