প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিএনপিকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন: নোমান

160

মিরর বাংলাদেশ  : সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, যে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়, সে নির্বাচন আমরা চাই না। যে দেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই তেমন দেশ আমরা চাই না। আমরা দীর্ঘদিন এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকার শুনে নাই। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাদেরকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনলাইন প্রবাসী বিএনপি সমর্থক পরিষদ এর উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম।
জিয়া প্রজন্মদলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন কাওসার মুন্নীর সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার ।
নোমান বলেন, আজকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এরজন্য সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এক দফা মানেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে পরিবর্তন আনা। আজকে এ আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সরকার কিছুতেই এ জনদাবি মানতে চাইবে না। কারণ, এরা জনবিচ্ছিন্ন। এ সরকারকে আজ দেশ-বিদেশের সবাই ধিক্কার জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের মতো সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে। আমরা তা মানি না। নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। আসলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে জনতার ঢল দেখে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে বুলেটের চেয়ে ব্যালট বেশি শক্তিশালী। জনগণ এবার তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
আব্দুস সালাম বলেন, সারাদেশকে এ সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। এখন শ্মশান বানাতে চায়। তাই জনতার আন্দোলন দমাতে একের পর হত্যা করে যাচ্ছে এই সরকার। গ্রেপ্তারের নামে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। আসলে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। বললেই খুন হতে হবে। যেমনটি হয়েছিলো ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে।