ফখরুলের কথা শুনলে মনে হয় তিনি যেন মহামারি বিশেষজ্ঞ : তথ্যমন্ত্রী

249

মিরর বাংলাদেশ : সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনের কোভিড-১৯ ভাইরাস। নতুন ধরনের এ ভাইরাস যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে তাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মনে হয় তিনি যেন মহামারি বিশেষজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে মনে হচ্ছে প্যানডেমিক নিয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি এমনভাবে পরামর্শ দিলেন, কী কী বন্ধ করতে হবে আর বাংলাদেশ সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, তিনি তো শিক্ষিত মানুষ। আমি তাকে সবিনয়ে অনুরোধ করবো, আশেপাশের দেশগুলোতে করোনায় কী পরিমাণ মৃত্যু বা করোনা শনাক্তের হার কতটুকু সেটি একটু বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য।’
করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরাÍ এটার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আগেও কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। সরকারি ছুটি দেওয়া হয়েছিল, স্কুল-কলেজসহ অনেক কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। এখনও স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে, অনেক কিছু বন্ধ আছে। প্রয়োজনের নিরিখে বিভিন্ন সংস্থা তো সেই ব্যবস্থা নিতেই পারে। সংস্থা-প্রতিষ্ঠান তো নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বুধবার বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শীতকালে করোনা বাড়বে এটা আগেই থেকেই সরকার সতর্ক করেছিল, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে জনগণকে সচেতন করা হয়েছিল। পাশাপাশি মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। আমরা যতটুকু আশঙ্কা করেছিলাম করোনা বৃদ্ধির, ঠিক সেভাবে এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে হয়নি। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে আশেপাশের দেশগুলো থেকে অনেক ভাল অবস্থানে আছে।’
গত সাড়ে নয় মাসে মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের পাশে দাঁড়াননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মানুষের কাছে মাস্ক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এক কোটি ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর তো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা অনেক আশঙ্কার কথা বলেছিলেন, দেশে রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে না রোগী। আল্লাহর রহমতে সেটি হয়নি। তাদের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।