ফটোসাংবাদিক নাদিমকে নিয়ে কাউন্সিলর খোরশেদের আবেগঘন স্ট্যাটাস

544

মিরর বাংলাদেশ :  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় মসজিদ  বিস্ফোরণের    ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শনিবার রাতে মারা যাওয়া ফটোসাংবাদিক নাদিম আহমেদকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন মানবিক কাউন্সিলর করোনা হিরো মাকছুূূুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো

আজ শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০:১৫ মিনিটে দগ্ধ হয়ে জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন ফটো সাংবাদিক নাদিম। সর্বনাশা আগুনের ২১ তম শিকার নাদিম।শোক এবং সমবেদনা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ভয়ংকরভাবে নিঃসঙ্গ লাগছে এই ভেবে, আর দেখা হবে না; আর কথা হবে না।সকালে বার্ণ ইউনিটে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ সবার সাথে নাদিমকেও দেখে এসেছিলাম।সারা শরীর পুড়ে গেছে।মুখটা ঝলসে দ্বিগুণ বড় হয়ে গেছে।অচেতন অবস্থায় হাসপতালের বিছানায় পরে ছিল।খুব পরিচিত না হলে কারো চেহারা দেখে কাউকে চেনার উপায় নেই।সবচেয়ে কম পুড়েছিল ঈমাম সাহেব।তিনিও সন্ধায় চলে গেছেন পরপারে।

সকাল ১১ টায় আমি ও তৈমূর ভাই বার্ণ ইউনিটে পৌছানোর এক ২০ মিনিটের মত ছিলাম ওয়ার্ডে।কারো চেহারার দিকে তাকানোর উপায় নাই,কয়েকজনকে দেখলাম তাদের চোখের পাতা পর্যন্ত নাই।ওয়ার্ডের বাইরে আরো ঘন্টা খানেক থাকলাম,আহতদের ও মৃতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার জন্য।এই দেড় ঘন্টার মধ্যে আরো চার মৃত্যু যোগ হলো চোখের সামনে।একজন মরে যার আর তার বেডটি ওয়ার্ড বয়রা টেনে পাঁচ তলা থেকে টেনে নীচের লাশ ঘরে নিয়ে যায়।সন্ধ্যা হতে ১৮ জন,রাত ৯ টায় ২০ জন আর ১০ টায় ২১ নাম্বারে যোগ হয় নাদিম।
স্থানীয় পত্রিকায় কাজ শুরুর অনেক বছর আগে থেকেই নাদিমকে চিনি।তার ভাগ্নি জামাই মরহুম শিমুল ছিল আমার পূর্ব পরিচিত। নাদিম ছিল অনেকটা সরল সোজা মানুষ।আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি ও ঈদের কয়েকদিন আগেও এসেছিল একটি আইপি টেলিভিশনের হয়ে।আল্লাহ নাদিম সহ সকল মৃতকে শহীদি মর্যাদা দান করুন,পরিবার পরিজনকে শোক সইবার তৌফিক দান করুন।