ফতুল্লায় মেহেদীর রঙ না মুছতেই লাশ হলো মারিয়া

295
মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ :
ফতুল্লার মাসদাইর থেকে মারিয়া আক্তার (১৮) নামক এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারিয়া আক্তার কে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। নিহত গৃহবধূ ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ছোট কবরস্থানের শাহাদাতের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রিফাতের স্ত্রী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানা থানার পূর্ব শিয়লাদির দুবাই প্রবাসী মোঃ শহীদ মীরের কন্যা।
শুক্রবার  দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,আমরা খবর পেয়ে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। তারপরও তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন,নিহতের স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাকে জানায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের সাথে তার স্বামী রিফাতের ঝগড়া হয়।পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় তা মিমাংসা হয়। তারা সকলেই ঘুমিয়ে পরে। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে নিয়ে নিহত গৃহবধূ সকলের অগোচরে দরজা খুলে পাচঁতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে নিচে লাফিয়ে পরে আত্নহত্যা করে। তবে তা কতটুকু সত্য তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের চাচা হুমায়ুন হাওলাদার জানান,তার ভাতিজি মারিয়া আক্তার আত্নহত্যা করতে পারেনা। তার ভাতিজিকে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেছেন তিনি।
নিহত গৃহবধূ মারিয়া আক্তারের মা রহিমা আক্তার জানায়, একই জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার আউশাহি গ্রামের মালেয়শিয়া প্রবাসী মোঃ লিটনের পুত্র রিফাত কে প্রেম করে চার মাস পূর্বে বিয়ে করে তার মেয়ে মারিয়া আক্তার। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তারা সে বিয়ে মেনে নিয়ে পারিবারিক ভাবে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে তার মেয়ের উপর নির্যাতন করতো স্বামী রিফাত। এমন কি মেয়েকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হতোনা। তারা মাসদাইরের ভাড়া বাসায় মেয়েকে দেখতে এলেও তাদের সাথে মেয়েকে দেখা করতে দিতোনা।
প্রতিদিনই মেয়ের উপর নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মেয়ের শ্বশুড় বাড়ী থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় যে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে।পরে তারা এখানে এসে জানতে পারে যে তার মেয়ে মারা গেছে।তার দাবী পরিকল্পিত ভাবে তার মেয়েকে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে প্রচার করে পার পেয়ে যেতে চাইছে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন।