বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে একের পর এক ঘটছে অগ্নিকান্ড

548

মিরর বাংলাদেশ : বস্তিতে একের পর এক আগুনের পর সামনে চলে আসে গ্যাস-বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিষয়টি । অথচ দিনের পর দিন বিভিন্ন উপায়ে বস্তিবাসী এসব সুবিধা ভোগ করে এলেও আড়ালেই থেকে যায় সেবা সংস্থাগুলোর ভূমিকা। বস্তিবাসীর অসচেতনতার পাশাপাশি এমন দুর্ঘটনার দায় সেবা সংস্থাগুলোও এড়াতে পারে না জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প নেই কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের।
মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের অগ্নিকান্ডের ঘটনা স্থলে যায় সময় সংবাদ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বস্তির এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিম্নমানের তারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একটি তার থেকে আরেকটি তার জোড়া লাগিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে। আর ঝূঁকিপূর্ণ এসব তারের বিদ্যুৎ নিরোধকের নেই আধুনিক ব্যবস্থা। টেপ পেঁচিয়ে নিরোধক করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় সেগুলো আলগা হয়ে পরিণত হয়েছে ঝূঁকিতে।
অথচ বছরের পর বছর ধরে একরকম বাধ্য হয়েই এমন ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন এসব বস্তিবাসী। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও নিত্য মেটাতে হয় বিদ্যুতের বিল।
মোহাম্মদপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় দেওয়া হয় অবৈধ বিদ্যুতের লাইন। তারা বলছেন, বস্তির সব সংযোগই অবৈধ। চাইলেও কেউ পান না বিদ্যুতের মিটার।
মহাখালী, মিরপুর কিংবা মোহাম্মদপুর সব যেনো একই সূত্রে গাঁথা। বৈধ কিংবা অবৈধ যে উপায়ই সেবা পান তা উল্টা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। প্রভাবখাটিয়ে যারা এসব লাইন সরবারহ করছে ঝুঁকির বিষয় তারাও মানছেন অকপটে।অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বস্তিবাসির ‘সেবা’ করতে পারছেন এমনও দাবিও করছেন তারা।
নগরবিদরা বলছেন শুধু সেবা সংস্থা নয় দায় এড়াতে পারবে না নগর কর্তৃপক্ষ।
নগরপরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এখনই সরকারের উচিত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া। এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন আমাদের বহু উদ্যোগের পরিকল্পনার গল্প শুনিয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আপতত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দিয়ে বস্তিবাসির জীবনমান উন্নত করতে পরিচ্ছন্ন সেবা প্রদান করা হোক। পাশাপাশি সব সেবার বৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করা হোক। সিটি করপোরেশন বলছে, শিগগির ভাসমান এসব মানুষের যথাযথ পুনর্বাসনের কথা ভাবছেন তারা।
জানা গেছে, গত দুই মাসে রাজধানীতে ছোট বড় প্রায় পাঁচটি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে পুড়লো আরো একটি বস্তি। মিরপুরের কালশি বাউনিয়াবাঁধ সি ব্লকের পুকুরপাড় বস্তিতে রাত দুইটার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬০টি ঘর ও দোকান নিমিষেই ভষ্ম হয়েছে। গভীর রাতের এই আগুনে দিশেহারা মানুষ ঠাঁই নেয় খোলা আকাশের নিচে।
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারনে রাজধানীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ পুকুরপাড় বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অর্ধশতের বেশি ঘর। মঙ্গলবার রাত দুটার কিছু সময় পর অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। যা নিমিষেই সব পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এতে সহায় সম্বলহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
অগ্নিকান্ডের খবরে দ্রুত তা নির্বাপনে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই। মহাখালীর সাততলা বস্তির অগ্নিকান্ডের এক দিনের পার্থক্যে অসহায় সম্বলহীন হলো আরও অর্ধশত পরিবার।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা না দিলেও গ্যাস ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগকে দায়ী করছে ফায়ারসার্ভিস আর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য জানালেন ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একই বস্তিতে মধ্যরাতে আগুন লাগে। পুড়ে যায় শতাধিক ঘর।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে পুড়লো আরো একটি বস্তি। মিরপুরের কালশি বাউনিয়াবাঁধ সি বøকের পুকুরপাড় বস্তিতে রাত দুইটার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাÐের ঘটনায় ৬০টি ঘর ও দোকান নিমিষেই ভষ্ম হয়েছে। গভীর রাতের এই আগুনে দিশেহারা মানুষ ঠাঁই নেয় খোলা আকাশের নিচে।
রাজধানীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ পুকুরপাড় বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অর্ধশতের বেশি ঘর। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত দুটার কিছু সময় পর অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। যা নিমিষেই সব পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এতে সহায় সম্বলহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
অগ্নিকান্ডের খবরে দ্রুত তা নির্বাপনে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই। মহাখালীর সাততলা বস্তির অগ্নিকান্ডের এক দিনের পার্থক্যে অসহায় সম্বলহীন হলো আরও অর্ধশত পরিবার।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা না দিলেও গ্যাস ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগকে দায়ী করছে ফায়ারসার্ভিস আর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য জানালেন ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একই বস্তিতে মধ্যরাতে আগুন লাগে। পুড়ে যায় শতাধিক ঘর