বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপে সরকার কোনও চাপ অনুভব করছে না

236

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপে সরকার কোনও চাপ অনুভব করছে না : ওবায়দুল কাদের
 

নির্দিষ্ট দলকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে : পিটার হাস

মিরর বাংলাদেশ : কোনও নির্দিষ্ট দলকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমÐলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত বৈঠকে অংশ নেন। পিটার হাস বলেন, কোনও নির্দিষ্ট দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি, যেটি বাংলাদেশের জনগণকে আগামী সরকার নির্বাচনের সুযোগ করে দেবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুযায়ী, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সমর্থন করি। যেখানে কোনও পক্ষ থেকেই সহিংসতা হবে না। আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। সরকার, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগ, সুশীল সমাজ, নিরাপত্তা বাহিনীÍপ্রত্যেককে তার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী জানতে চাইলে পিটার বলেন, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও অবস্থান নেই। এটি রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। আমরা কেবল অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবেই আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার এই বৈঠক হলো।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনও আসেননি। তিনি আসলেন, দেখে গেছেন।’
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত তত্ত¡াবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচন কমিশনের বিলুপ্তি নিয়ে কোনও কথা বলেননি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা চাপ অনুভব করবো কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করবো কেন? যদি বলেন চাপ, তাহলে বিবেকের চাপ। বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপে সরকার কোনও চাপ অনুভব করছে না।’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনও আসেননি। তিনি আসলেন, দেখে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘কথা যেটা, আগামী নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা সবসময় বলি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, আমরা যার সঙ্গে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গীকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত ক্লিয়ার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে বলছি। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগণের কাছে কমিটমেন্ট। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলনেরই সোনালি ফসল।’
শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও কমপ্লেইন নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন অ্যাম্বাসেডর কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এ ধরনের কোনও কথা বলেনি। কথা হয়েছে ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে।’
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত তত্ত¡াবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচন কমিশনের বিলুপ্তি নিয়ে কোনও কথা বলেননি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।