মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরনে নিহত ৬জনের পরিচয় মিলেছে

130

মিরর বাংলাদেশ :

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় কতজন মারা গেছেন তা নিয়ে কিছুটা ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ছয়জন বা সাতজনের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও ফায়ার সার্ভিস বলছে তিনজনের মৃত্যুর কথা। তবে ৬জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিচয়ও জানা গেছে।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোডে আড়ংয়ের বিপরীতে ওই ভবনটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ভবন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সেটি চারতলা। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভবনের নিচতলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ তা এখনো জানা যায়নি। বিকট শব্দের কারণে ঘটনাস্থলে থাকা তিনটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আশপাশের ভবনের কাচ ভেঙে পড়তে থাকে

বিস্ফোরণের পর রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা সাতজন পর্যন্ত উল্লেখ করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, তারা সাতজনের মৃত্যুর খবর জেনেছেন। তার সূত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমও নিউজ পরিবেশন করে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে মগবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন।

যদিও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বলছে, তিনজন মারা গেছেন। আর ৬৬ জন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে ছয়জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- প্রাইভেটকার চালক স্বপন মিয়া, আজমেরি পরিবহনের বাসের চালক আবুল কাশেম, পথচারী রুহুল আমিন নোমান, রেডিও ধ্বনির আরজে মোস্তাফিজুর রহমান, দশ মাসের শিশু সোবহানা এবং তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস।

এদের মধ্যে তিনজন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান। একজন আসেন মগবাজারের একটি হাসপাতাল থেকে। শিশু সোবহানা ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

মৃত স্বপন মিয়া একজন প্রাইভেটকার চালক। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম। আবুল কাশেম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার ইউনপুর গ্রামের সেলিম মোল্লার ছেলে। তিনি আজমেরি পরিবহন বাসের চালক। আর মৃত রুহুল আমিন নোমানের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রেডিও ধ্বনির উপস্থাপক ছিলেন।

আমাদের মেডিকেল প্রতিনিধি মৃত শিশু সোবহানার বাবা সুজন মিয়ার বরাত দিয়ে জানান, শিশুটির বাবা সুজন মিয়া রমনায় একটি ফার্মেসিতে চাকরি করেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে সেখানে একটি ফাস্টফুডের দোকানে গিয়েছিলেন শর্মা খেতে। তার খাওয়া আগে শেষ হওয়ায় তিনি দোকান থেকে বের হয়ে যান। এতে তিনি রক্ষা পান।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম  বলেন, ‘আমাদের হিসাবমতে মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। আর মারা গেছেন তিনজন।’

ঢাকা মেডিকেলে ছয়জনের লাশের কথা বলার পর লিমা খানম বলেন, ‘আমাদের হিসাবের পর হয়ত এসব লাশ সেখানে গেছে