রাসূলের জীবন থেকে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে :অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন

270

* ‘হাজারীবাগে সীরাতুন্নবী (সা) প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ’

মিরর বাংলাদেশ : রাজধানীর একটি মিলনায়তনে  শুক্রবার দুপুরেহাজারীবাগ চ্যারিটেবল সোসাইটির উদ্যোগে সিরাত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক ও হাজারীবাগ চ্যারিটেবল সোসাইটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। হাজারীবাগ চ্যারিটেবল সোসাইটির চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, আব্দুল বারী আকন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র সোসাইটির সদস্য-সহ দুইশতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিযোগী ও অভিভাবকবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। তাই প্রত্যেক মুসলিম শিশুকে শৈশব হতেই রাসূলের জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। সকল বয়সের মানুষের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য আদর্শ হচ্ছে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)। মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূল সা:-এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ’ কুরআনের এই বাণীকে অনুধাবন অনুকরণ করতেই শাখাগুলোতে সিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে যার ওপর আলোচনা হচ্ছে, তিনি সর্বকালের, সর্বক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ মানব। তিনি মানবতার মূর্ত প্রতীক। আমাদের বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেসব সমস্যায় নিমজ্জিত, তার একমাত্র সমাধান দিতে পারে ইসলাম ও রাসূল সা:-এর সুন্নাহ। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য তিনি প্রতিযোগী শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাইকে ইসলাম ও রাসূল সা:-এর সুমহান আদর্শের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল শিশুকাল থেকেই সিরাত চর্চার মাধ্যমে ব্যক্তি গঠনের মন মানসিকতা তৈরি করা। আর ইসলামী শিক্ষা মানে হলো- ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। এরই একটা অংশ হলো সিরাতুন্নবী (সা.)। আল্লাহর নবীর জীবনী চর্চা করা, পড়া এবং অনুধাবন করা এটা ইসলাম শিখারই নামান্তর। এরপর হলো- সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অর্থাৎ নবী জীবন থেকে যা শিখলাম এখন সেটাকে সমাজে বাস্তবায়ন করা, সামাজিক, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে বাস্তবায়ন করাই সমাজ গঠন। শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আর পুরস্কার গ্রহণ করাই এই অনুষ্ঠানের স্বার্থকতা নয়। এই অনুষ্ঠানের স্বার্থকতা ও সফলতা হলো- অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নবী (সা.) এর জীবনীকে অনুধাবন করে নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া। তিনি রাসূলের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের সবার ব্যক্তি পরিবার ও রাষ্ট্রের কাজসহ সকল ক্ষেত্রে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রথম ৩ জনকে ১৫ হাজার টাকা সমমানের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও ক-গ্রুপ, খ-গ্রুপ ও গ-গ্রুপ ভিত্তিতে মোট ৩৬জন বিজয়ী প্রতিযোগিকে সনদ, গিফট বক্স, ক্রেস্ট ও বই প্রদান করা হবে।