রায়পুরে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ১০ম শ্রেনীর ছাত্রের বিরুদ্ধে, অভিযুক্ত গ্রেফতার

785

 রায়পুরের চরবংশী এলাকায়  বিয়ে প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরের   নাম আশরাফুল ইসলাম তামিম।

গ্রেফতারের পর শনিবার   দুপুরে তাকে জেলা আদালতের পাঠায় পুলিশ। জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় জেলে পাঠানো হয় তাকে।

একই সময় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে    সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

অভিযুক্ত তামিম উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. সেলিমের ছেলে। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তামিম স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ও  কিশোরী একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তামিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে তামিম দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলেই তামিম বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। সম্প্রতি ছাত্রীর বিয়ের জন্য চাপ দিলে তামিম অস্বীকৃতি জানায়।

এতে উপায় না পেয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তের বাবা মো. সেলিম বলেন, কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তার (ছাত্রী) পরিবার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজিয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন,   অভিযুক্তের সামনেই ছাত্রী জবানবন্দি দিয়েছে। এর ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।