শপথ নিয়েই জো বাইডেন বললেন ”হেল্প মি গড”

423

মিরর ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শপথ নিয়েই বললেন- হেল্প মি গড। ঈশ্বর আমাকে সাহায্য করুন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি হলেন এ যাবতকালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়সী প্রেসিডেন্ট। বাইডেনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। শপথ নেয়ার পর তিনি জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে বলেন, আমরা আবার জানলাম গণতন্ত্র মূল্যবান। গণতন্ত্র অবশ্যই আসবে।

জনগণের কন্ঠস্বরকে শোনা হয়েছে। তাদের ইচ্ছার কথা শোনা হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। দেশের ভিতর সন্ত্রাসকে আমরা পরাজিত করবো। আমাদের দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। সবার জন্য ন্যায়বিচারের স্বপ্ন আর দূরে থাকবে না। আমরা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ এবং আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসকে অবশ্যই মোকাবিলা করবো। আমি যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করবো এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবো। একজন অন্যের প্রতি সম্মান দেখাবো। তিক্ততা এবং চরমপন্থা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান জো বাইডেন। সমাজে আরো বেশি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহত্মের জন্য ঐক্য প্রয়োজন। হাউকাউ, চিৎকার বন্ধ করে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ঐক্য ছাড়া শান্তি আসে না। বাইডেন বলেন, আমরা আমাদের জোটের সঙ্গে আবার যুক্ত হবো। বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হবো। এই বক্তব্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের প্রশংসা করেন। বলেন, ১০৮ বছর আগে আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সাহসী নারীদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম একজন নারী কমালা হ্যারিসের শপথ অনুষ্ঠান দেখলাম। আমাকে বলবেন না, কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।

‘হেল্প মি গড’-প্রেসিডেন্ট বাইডেন 
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শপথ নিয়েই বললেন- হেল্প মি গড। ইশ্বর আমাকে সাহায্য করুন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি হলেন এ যাবতকালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়সী প্রেসিডেন্ট। বাইডেনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।


বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এখন শপথ নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি হলেন এ যাবতকালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়সী প্রেসিডেন্ট। বাইডেনকে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

কমালা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট
কমালা হ্যারিস শপথ বাক্য পাঠ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। মঞ্চে সঙ্গীতশিলপী, অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। পরিবেশন করছেন সঙ্গীত। ন্যাশনাল মলে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার সমুদ্র। চারদিকে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের গাড়ি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করছেন এ প্রজন্মের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লেডি গাগা। গানের তালে তালে ন্যাশনাল মলে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ঢেউ।

শপথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
করতালির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে ।বাজানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। শুরু হচ্ছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। উপস্থিত আছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।  উদ্বোধনী ভাষণ দিচ্ছেন সিনেট সদস্য এমি ক্লুবুচার ।

ক্যাপিটল হিলে বাইডেন, কমালা হ্যারিস 
গির্জায় প্রার্থনাসভা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল ভবনে প্রবেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল বাইডেন। তাদের পাশাপাশি ক্যাপিটল হিলের সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে যেতে দেখা গেছে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কমালা হ্যারিস ও তার স্বামী এমহফ’কে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে ক্যাপিটল হিলে।

ক্যাপিটলে আসন গ্রহণ করেছেন সিনেটররা, বাজছে ব্যান্ড 
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিল থেকে সিনেট নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এরই মধ্যে তারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেছেন। ক্যাপিটাল ভবনের ভেতরে অন্য আইন প্রণেতারা এবং ভিআইপি ব্যক্তিরা যখন প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করছেন, তখন সেখানে বাজানো হচ্ছে ব্যান্ড। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল মল-এ লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে এবার ন্যাশনাল মলে কোন সাধারণ মানুষকে উপস্থিত হতে দেয়া হচ্ছে না। তবে তার পরিবর্তে এই ন্যাশনাল মল সয়লাব হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায়। এখানে উল্লেখ্য যে, আর মোটামুটি এক ঘণ্টার মধ্যে এই ক্যাপিটল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এযাবৎকালের সবচেয়ে বয়সী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি।

বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে ১৭ রিপাবলিকানের চিঠি 

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ১৭ সদস্য। টেক্সাসের রিপাবলিকান বেথ ভ্যান দুইনে’র নেতৃত্বে এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অন্য ১৬ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন ম্যাডিসন ক্যাথর্ন, বেরি ম্যুর, বারগেস ওয়েনস, মেরিয়ানেত্তি মিলার-মিকস, পিটার মেইজার, অ্যাশলে হিনসন এবং কারলোস এ গিমেনেজ। চিঠিতে তারা ঐক্যবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাইডেনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তারা চিঠিতে লিখেছেন- আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদেরকে যা কিছু বিভক্ত করেছে তার চেয়ে মার্কিনীদের ঐক্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করি দলীয় অবস্থান থেকে উপরে উঠে যেতে পারব আমরা এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের জীবনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তনে একসাথে কাজ করতে পারব। চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেন দলীয় অচলাবস্থার কারণে মার্কিনিরা ক্লান্ত। আমেরিকান পরিবার, ওয়ার্কার এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের নেতারা যেন এই অচলাবস্থা নিরসনে কাজ করতে পারেন সেটাই প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র।

শপথ নেয়ার আগে গির্জায় বাইডেন দম্পতি: 
শপথ অনুষ্ঠানের আগে ওয়াশিংটন ডিসির একটি গির্জায় অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভায় সস্ত্রীক যোগ দিয়েছেন জো বাইডেন। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা সিনেটর মিচ ম্যাককনেল এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জো বাইডেন দ্বিতীয় রোমান ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। তার আগে ছিলেন ডেমোক্র্যাট জন এফ কেনেডি।

ক্লিনটন ও ওবামা দম্পতি পৌঁছেছেন ক্যাপিটলে
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এরইমধ্যে ক্যাপিটল হিল ভবনে উপস্থিত হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন। এখানে উল্লেখ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ২০১৬সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন হিলারি।

অবশ্য এ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আছে। ক্লিনটন দম্পতি উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেখানে হাজির হয়েছেন আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট দম্পতি। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা