সংক্রমণ থেকে রক্ষার সুব্যবস্থা ছাড়া সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করা যাবে না :ডিইউজে

214

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষার সুব্যবস্থা ছাড়া সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করা যাবে না বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটায় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ডিজিটাল নিউজ পেপার, বার্তাসংস্থার সাংবাদিকদের কর্তব্য পালন হুমকির মুখে পড়েছে। বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমে বেতন-ভাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি অনিয়মিত। স্বাস্থ্যঝুঁকির মোকাবেলায় নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পরিবহন সুবিধাও নিশ্চিত করেনি অনেক প্রতিষ্ঠান। তারপরেও, দর্শক ও পাঠক চাহিদা, প্রতিষ্ঠানের সুনামের কথা মাথায় রেখে এবং পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সংবাদিকরা কর্তব্য পালন করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে হবে।

এ জন্য ডিইউজে নিম্নোক্ত দাবি জানাচ্ছে-
১. যদি রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যমের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ, স্বাস্থ্যঝুঁকির নিরাপত্তা ও পরিবহন সুবিধা প্রদান করতে না পারে, তাহলে কোনো অবস্থাতেই সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করা যাবে না।

২. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে বহন করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আর্থিক তিপূরণ প্রদান করতে হবে।

৩. ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ভিন্ন পেশাজীবীদের সমান প্রণোদনা সরকারকে প্রদান করতে হবে।

৪. ভয়াবহ সংক্রমণের এই সময়ে সমমনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউজ শেয়ারিং পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ এ্যাসাইনমেন্ট পরিহার করতে হবে।

৫. ঝুঁকি কমিয়ে আনা ও অফিসের অন্য সহকর্মীর সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পথে-ঘাটে-মাঠে দায়িত্ব পালন করেন এমন সাংবাদিকের জন্য আলাদা নিউজরুমের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিকদের কাজে পাঠানোর আগে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবহন ববস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. দুর্যোগের সময়ে হোটেল-রেস্টেুরেন্ট খোলা না থাকায় অফিসের অভ্যন্তরে কর্তৃপরে উদ্যোগে খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৮. দুর্যোগকালীন সময়ে কর্মরত সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে। নিকট অতীতেও হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দায়িত্বপালনকারীদেরও ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা হতো।

৯. করোনাকালে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

১০. করোনাকালে চাকরি হারানো সাংবাদিকদের আবার চাকরিতে বহাল করতে হবে। করোনাকালে সবধরণের সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে।