সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা সম্ভব : এসপি নারায়ণগঞ্জ

353

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ নুতন পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, শুধু নারায়ণগঞ্জ না, আমার কাছে মনে হয়েছে সারাদেশে কিশোর অপরাধ একটা ব্যাধি। এ অপরাধের সাথে ছোট ছোট বাচ্চারা জড়িত। এদের কেউ এডুকেডেট। কেউ আনএডুকেডেট, আবার কর্মজীবী ছেলেরাও আছে। এ অপরাধ পুলিশের পক্ষে শতভাগ ভাগ নির্মূল করা আসলে সম্ভব না। এটা যেমন বাবা-মা’র দায়িত্ব আছে, স্কুল কলেজের টিচারের দায়িত্ব আছে, পুলিশের বড় একটা ভূমিকা এবং দায়িত্ব আছে, আপনাদের(সাংবাদিকদের) দায়িত্ব আছে। সবাই মিলে যদি আমরা একযোগে কাজ করি, তা হলে কিন্তু আমি মনে করি কিশোর গ্যাং নির্মূল করা সম্ভব।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার এসব কথা বলেন তিনি।
এসপি বলেন, আমরা সব সময় বলি মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স । কিন্তু এটাও ঠিক যে মাদক কিন্তু আমরা শতভাগ নির্মূল করতে পারিনি। তবে আমদের ইন্টেশনটা হচ্ছে ১শ’ ভাগ পিউর । হ্যাঁ আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স নিতি প্রয়োগ করবো। কথার সাথে কাজের আমি মিল রাখব ইনশাআল্লাহ।
এসপি বলেন, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই, তাদের আমি অনুলোধ করবো আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন। আর যাদের কাগজ পত্র নাই কোন কিছু নাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের একশনে যাওয়া উচিৎ। সুতরাং কাগজ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন যে সকল মোটরবাইক আমরা পাব তাদের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহ থেকে কম্বিং অপারেশনে যাব।
ইজিবাইকে বিভিন্ন প্রেসের স্টিকার, সড়কে ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে বি আরটিএ আছে, হাইওয়ে পুলিশ আছে, সিটি কর্পোরেশন আছে, স্থানীয় অটোরিক্সা মালিক সমিতি আছে । ট্রাফিক পুলিশ আছে। আমি তাদের সবার সাথে বসে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব। এর আগে তো তাদের সবার সাথে কথা বলতে হবে । এবং এই বিষয়গুলোর উপর আমাদের অবশ্যই ফোকাস থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ।