মিরর বাংলাদেশ : ৬৭ বছরে পা দিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ছড়াকার ইউসুফ আলী এটম। শনিবার (৪ জুলাই) তার শুভ জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই তিনি নারায়ণগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষকপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার হাত ধরে নারায়ণগঞ্জের অনেকেই সাংবাদিকতা পেশায় এসেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
ইউসুফ আলী এটমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে মিরর বাংলাদেশ পরিবার।
ইউসুফ আলী এটমের পিতা প্রয়াত সাদত আলী মাস্টার ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর মামা জহিরুল হক ছিলেন গণবিদ্যা নিকেতনের সহকারি প্রধান শিক্ষক। তাঁর মামানী গুলনাহার বেগম, স্ত্রী শাফায়াত বেগম এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁর মা প্রয়াত জামিলা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিনী। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তাঁর পিতার হাতেগড়া নারায়ণগঞ্জের প্রচুর ছাত্রছাত্রী আজ সমাজ ও রাষ্ট্রীয়জীবনের বিভিন্নক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।
ইউসুফ আলী এটম চাষাঢ়া রামকানাই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ ৫ম শ্রেণী, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ১ম বিভাগে এসএসসি, তোলারাম কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন। কলেজজীবন থেকেই তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে তিনি সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হন। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে তিনি ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকে চাকরি করেছেন। এসময় তাঁর হাতধরে নারায়ণগঞ্জের অনেকেই সাংবাদিকতা পেশায় এসেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের ছড়াসাহিত্যে ইউসুফ আলী এটম একটি পরিচিত নাম। একজন প্রতিবাদী ছড়াকার হিসেবে তিনি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তাঁর লেখা ছড়াগ্রন্থ ‘চুপ’ পাঠকসমাজে সমাদৃত। ১৯৭৮ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত দেশবিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ছড়া সংকলন ‘ এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’ প্রকাশের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ওই সংকলনে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁর এবং প্রয়াত ওয়াহিদ রেজার লেখা স্থান পেয়েছিলো। পরের বছর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘ পৃথিবীর কাছে নোটিশ’ সংকলনে লেখা এবং প্রকাশনা ও বিলির সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে তাঁকে একদিন কারাবাস করতে হয়েছিলো।
জন্মদিনে ইউসুফ আলী এটম সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন, তিনি যেন বাকীজীবন সুস্থ থেকে আগের মতোই সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেন।