সামনের ৬ মাস বেশ কঠিন সময় : শামীম ওসমান

221
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, সামনের ৬ মাস বেশ কঠিন সময়। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এ ৬ মাস খুবই ভয়াবহতা হতে পারে। তাই আমাদের এখন একটাই টার্গেট শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাকে নিরাপদ রাখতে হবে। সুতরাং আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম তাদেরকেই লড়াই করতে হবে। মাঠে থাকতে হবে। এ কারণে আগামী অক্টোবের শুরুতে একটি বড় সমাবেশ করবো।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী না। তিনি আমাদের কাছে আমাদের বিকল্প মা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বললে অধিকার নিয়ে কথা বলি। আমরা যখন তাঁর সঙ্গে একদিন বসেছিলাম তখন তিনি আমাদের বলেছেন, শামীম  আমি হলাম নীলকণ্ঠি। আমি বিষ খেয়েও হজম করতে পারি। তাঁর সেই কথা আমি অনুসরণ করি। নেত্রী যদি সব হজম করতে পারে তাহলে আমরা কর্মীরা কেন পারবো না। কিন্তু এত বিষ হজম করতে হবে সেটা বুঝি নাই। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের
কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্বজনদের কবরে মাটি ফেলার প্রসঙ্গে আবারও কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনায় তিনি যদি তার কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করতেন এবং তাতে যদি তার পরিবার ও কর্মীরা উত্তেজিত হতো তাহলে নারায়ণগঞ্জে কেবল মাথা দেখা যেত মাটি দেখা যাইতো না সরকারদলীয় এই সাংসদ আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনার নাম আমার বাবা, মা, ভাইয়ের নামে করেছেন। আমরা খুশি হয়েছি, চোখে পানি এসেছে, আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। এইটা নাকি টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা হইছে। এই নিউজ আমাকে পাঠাইছে আমি দেখিও নাই। ছাগল-পাগল-কুত্তা-বিলাই কিছু কইলে তাতো শুনতে হয় না । শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয় একজন শুনে ৫ জন। তাদের কেউ কেউ আমাকে খুনী বলতাছে কেউ ওমুক বলতাছে এসব এখন আর গায়ে লাগে না ।
শামীম ওসমান বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমরা কর্মী সভা করবো। ২৭টি ওয়ার্ডে কর্মী সভা করবো। আমিও পরে সবগুলো ওয়ার্ডে যাবো। এর পরে আমরা রাস্তায় নামবো। রাস্তার শ্রমিক রিকশাওয়ালা হকারদের জানাবো আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। আমার কোন আলিশান বাড়ির মালিককে দরকার নাই। এটা করতে হবে আমাদের ক্ষমতার জন্য না বরং দেশের স্বার্থে। আমি অনেক কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু ভেতরে যা হচ্ছে তা খুবই ভয়ঙ্কর।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড খোকন সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ