সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে প্রতিঘাতের প্রস্তুতি থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

379

মিরর বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবো। যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কিন্তু কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মতো সক্ষমতা যেন অর্জন করতে পারি। সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং সেভাবেই প্রস্তুতি থাকতে হবে।
রোববার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২০ এর গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মিরপুর সেনানিবাস শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসি প্রান্তে যুক্ত হন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই এ বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তুলবেন। যেন সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি খুব স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেটাই মেনে চলছি। বাংলাদেশ একটি দেশ আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক, প্রায় ১০ লাখের ওপরে। আমরা তাদের সাথে কখনো সংঘাতে যাইনি কিন্তু আলোচনা করে এটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পরিমÐলেও সকলকে এ আহ্বান জানিয়েছি যে এই যে বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর। এটা যেন খুব দ্রæত তারা সমাধান করেন।
দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ এর সময় ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
‘আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসতে পারে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি,‘ তিনি বলেন।
তিনি বলেন, সরকার কোভিড-১৯ এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না এবং অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘সর্বোপরি, শিশুরা যদি তাদের স্কুলে যেতে না পারে তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে,’ বলেন তিনি।এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
তিনি আবারো করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।
তাছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনি ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেয়া হয়নি