সাহেদ – সাবরিনার সম্পদের খোঁজে দুদক

1078

মিরর বাংলাদেশ : করোনা সনদ জালিয়াতির হোতা মো সাহেদ ও জেকেজির চেয়ারম্যান ডা সাবরিনা চৌধুরীর সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন  ।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে করোনার ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দুদক।

তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে।

এর আগে বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো।

রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন্ উৎস হতে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করে। এসব তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত অভিযোগসমূহ কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগ অভিযোগটি অনুসন্ধান করবে। এ ব্যাপারে কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যেরে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এ দলের অন্য দুই সদস্য হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।