এস এম মনির হোসেন, সোনারগাও প্রতিনিধি :
গৃহবধূ ফাহিমা বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন ন্যায় বিচারের দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে গ্রামবাসী ও স্বজনরা।
সোমবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা কম্পাউন্ডে এ মানববন্ধন করা হয়।
গত ১২ আগষ্ট রাতে গৃহবধূ ফামিাকে মৃত প্রথম স্বামীর দেওভোগ নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী মনির হোসেন এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া গ্রামবাসী ও স্বজনরা জানান, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির ইস্পাহানি গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের মেয়ে ফাহিমার ১৭ বছর পূর্বে প্রথম বিয়ে হয় সোনারগাঁ উপজেলা সাদিপুর ইউপির দেওভোগ গ্রামের শাহ আলম শাহ’র ছেলে এছাহাক মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের ১০ বছর পর এক ছেলে এক মেয়েকে রেখে প্রথম স্বামী এছাহাক মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ ১০ বছর জামদানী পল্লীতে কাজ করে ছেলে ফরহাদ (১৬) ও মেয়ে জাকিয়া (১২)কে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন ফাহিমা। এক বছর আগে একই ইউপির শিংরাবো গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মনির হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় ফাহিমার। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী স্ত্রী ফাহিমাকে দিয়ে ব্রাক ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংক, ব্যুরো বাংলাদেশ, আশা ব্যাংক ও আরডিআর ব্যাংক কাঁচপুর শাখা থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে লোন উত্তোলন করে মনির হোসেন।
ফাহিমা স্বামী মনির হোসেনের কথা মতো এনজিও ব্যাংক লোন উত্তোলন করে দিলেও ঠিকমতো কিস্তির টাকা পরিশোধ করতো না মনির হোসেন। এ কিস্তির টাকা না দেয়ায় মনিরের সঙ্গে ফাহিমার ঝগড়াঝাটি মারামারি নিত্যদিনের পরিনত। ফাহিমা মারা যায়ার আগেও রাতে ফাহিমার সঙ্গে মনিরের ঝগড়া হয়েছিলো কিস্তির টাকা নিয়ে। মানববন্ধনে গ্রামবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ, এটা কোনো ভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পুলিশ প্রশাসন হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ঘাতক স্বামী মনির হোসেন ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন
নিহত ফাহিমার ছেলে ফরহাদ জানান, চলতি মাসের ১২ আগষ্ট বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দিকে আমার মা ফাহিমাকে ঘর থেকে তুলে বাড়ির উঠানে কথা বলে নিয়ে যায় মনির হোসেন তার বোন সারমিন ও বোন জামাই কামাল হোসেন। আমিও মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি শুনে ঘর বের হয়ে উঠানে যাই। পরবর্তীতে আমাকে তারা আমার ঘরে ঘমিয়ে থাকতে বলেন। তার পর আমি ঘরে চলে গিয়ে ঘমিয়ে থাকি। পরদিন সকালে লোকজন এসে বলে আমার মাকে নাকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমার মা ফাহিমাকে রাতে তারা তিনজন মিলে হত্যা করে ফেলেছে। এখন তারা আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে যাচ্ছে। আামি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। আত্মহত্যা না হত্যা। তবে ন্যায় বিচারের সার্থে পুলিশ গভীর ভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।