২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের

216
ছবি : ওবায়দুল কাদের

মিরর বাংলাদেশ  :আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবে আওয়ামী লীগ।

রোববার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন। আগের নির্বাচনগুলোতেও তিনি সিলেট থেকে নির্বাচনের সভা শুরু করেছিলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সে সময় হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত এবং সিলেটে সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী সফর শুরু করেছিলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে যাদের হাতে তারাই মানবাধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার। তবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখলাম মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডায় ১৩টি দেশের ৯০ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গতানুগতিক কর্মসূচি, তাদের ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। দলটির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না। তাদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের কথা বলতে হলে ফিলিস্তিনের কথা বলতে হবে। ১৮ হাজার মানুষ মেরেছে, এখনো চলছে। অথচ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইসরায়েলের পক্ষে একমাত্র সমর্থন দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে ইসরায়েল নামক দুষ্ট ছেলে আমেরিকার সন্তান, আবারও প্রমাণ হলো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার পর্যন্ত হয়নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটনা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়াও গুম খুনের রাজনীতি করেন। দেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভেঙেছে। ***