৬টি লিকেজ চিহ্নিত, কাল প্রতিবেদন দিবে তিতাস

356

মিরর প্রতিনিধি   নারায়ণগঞ্জ :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের তদন্ত কমিটি মসজিদের উত্তর পাশে গ্যাস লাইনে ৬টি লিকেজ চিহ্নিত করেছে। এবং এই লিকেজ দিয়ে মসজিদে গ্যাস ঢুকেছে তাও তারা নিশ্চিত হতে পেরেছে। ফলে তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ বুধবার রাতে সমাপ্ত ঘোষনা করেছে তিতাসের গঠিত তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুল ওহাব তালুকদার বুধবার রাতে জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার পর তিতাসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রোববার থেকে আমরা ফিজিক্যালি তদন্ত শুরু করি। এবং আজ (বুধবার) আমরা আমাদের তদন্ত শেষ করেছি। আজকে (বুধবার) মসজিদের উত্তর ও পুর্বপাশের টোটাল মাটি কেটে গ্যাসের সংযোগ লাইন বের করা হয়। পূর্বপাশে আমরা কোন লিক পাই নাই। উত্তর পাশে আমরা ৬টি লিক পেয়েছি। এবং চারটি ক্লাম লাগিয়ে লিকগুলো রিপিয়ার করার পরে আমরা গ্যাস ছেড়েছি। সম্পুর্ণ পেশারে গ্যাস ছাড়ার পর আমরা মসজিদের ভেতর তিন-চার ইঞ্চি পানি দিয়ে ভরে দিয়েছি। এসময় আমাদের সঙ্গে এনএসআই, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। মসজিদটা পানি দিয়ে ভরে দেয়ার পর মসজিদের ভেতর থেকে কোন লিক বের হচ্ছে না। এটা উপস্থিত সবাই দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, মসজিদের চার নাম্বার যে কলামটা রয়েছে। সেই কলামটা বানানোর সময় যে ফাউন্ডেশন তৈরী করা হয়েছে সেই ফাউন্ডেশনটা আমাদের গ্যাস লাইনকে ঘিরে আরো ৬ ইঞ্চি রাস্তার ভেতর রয়েছে। যখন তারা ফাউন্ডেশনটা করেছে আমাদের লাইনটা বিদ্যমান ছিল। লাইনটাকে উপরে রেখে নিচ দিয়ে ফাউন্ডেশনটা তৈরী করেছে। এবং এই কাজগুলো করার সময় আমাদের পাইপের রেপিং নস্ট করেছে। পাইপ লাইনের রেপিং নস্ট করার কারণে মাটির সংস্পর্শে এসে পাইপে লিকেজ তৈরী হয়েছে। সেই ছিদ্র থেকে গ্যাস বের হয়েছে। গ্যাসটা বের হয়ে সে যেদিকে ফ্রি স্পেস পেয়েছে সেদিকে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে লিকেজ চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের গ্যাস লাইন নব্বই দশকের। মসজিদ কমিটি বলেছে আগে তাদের ছাপড়া মসজিদ ছিল। ২০০০ সালে পাকা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মসজিদ নির্মানের জন্য মসজিদ কমিটির কাছে সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও রাজউকের কোন অনুমোদন নাই। এবং মসজিদে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে দুইটা। এরমধ্যে একটা বৈধ সংযোগ অপরটি অবৈধ। অবৈধ সংযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটি আমাদের বলেছে যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন তারা আলাদা ফেজ দিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎটা চালাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎটা যখন গিয়েছে তখন তারা চেঞ্জওভার করার সময় স্পার্ক হয়ে মসজিদে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমার প্রাথমিক ধারনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশাকরি তদন্ত প্রতিবদেনটা বৃহস্পতিবার জমা দিতে পারবো। ##