নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমার ভয় হচ্ছে। কোরবানির হাট বসেছে। মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কেউ নিয়ম কানুন মানছেন না।
তিনি বলেন, আপনার অসুখ হলে আপনার বাচ্চাকে কে দেখবে। নিজেকে রক্ষা করুন এবং আপনার আশেপাশের লোকজনকে সচেতন করুন।
বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় দুস্থ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে প্রধাণমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। জাতির পিতার কন্যার কাছ থেকে এই সামান্যতম উপহার আমাদের উচিত ছিল আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু আপনারা জানেন আপনারা বাদেও অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এই উপহার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। গতকালও প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন যাতে তাদের দেওয়া যায়। আল্লাহ দুনিয়ায় আজাব দিয়েছেন এখন আমাদের কিছু করার নেই। একটাই পথ, আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। আমরা হয়ত ঠিকমত মাফ চাইছি না, নিয়ম কানুনও মানতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আপনি থাকলে আপনার বাচ্চারা ভালো থাকবে। মাস্ক পড়ে, দূরত্ব মেনে, হাত ধুয়ে চলা গেলে আল্লাহ আমাদের বাঁচাবেন। আপনারা মনে করছেন আমরা আপনাদের জন্য অনেক কিছু করে ফেলছি, আসলে তা না। আমরা একটা কথা বলতে চাই, আপনারা যে আমাদের কতবড় উপকার করছেন তা আপনাদের কল্পনার বাইরে। আপনারা এই উপহার নিয়ে আমাদের সওয়াব কামানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ অভাবে আছেন। বিশেষত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, শুধু আপনারা নন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। আল্লাহ এই আজাব দিয়েছেন। আমরা সবাই যদি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি, মাফ চাই আল্লাহ মাফ করবেন। যারা খেটে খওয়া মানুষ আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা ছোট একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ। দেড় বছর হয়ে গেছে। তিনি এখনও চেষ্টা করছেন মানুষ যেন ভালো থাকেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ