নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা :
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত আলোচিত চাঁদমারী বস্তি অবশেষে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বস্তিটি শহরের সবচে বড় মাদকস্পট হিসেবে পরিচিত ছিলো। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন এসপি। এর আগে ৯ মে নারায়ণগঞ্জে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় চাঁনমারী বস্তি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেয়া আলটিমেটামের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে অনেকে স্বইচ্ছায় নিজেদের ঘর সরিয়ে নেয়।
বৃহস্পতিবার বাকী ঘরগুলোও ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ শতাধিক ঘর ছিলো এই চানমারী বস্তিতে। এখানে শীষ দিয়ে মাদক বিক্রি প্রচলিত ছিলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ বস্তিতে কয়েক যুগ ধরেই মাদক ব্যবসা চলছিলো। প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর অভিযানও হতো। তবে শত প্রচেষ্টার পরও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়নি বস্তিকে ঘিরে মাদক ব্যবসা। উচ্ছেদ শেষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে কোন মাদকের স্পট, মাদকের আস্তানা কিংবা মাদক বিক্রেতার স্থান হবেনা। কেউ মাদক নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা করে থাকলে এখনি সচেতন হউন। এসপি বলেন, এই চাঁদমারী বস্তি ছিল মাদকের স্পট। এখানে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলতো। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, সাজা দেয়া, বন্দুকযুদ্ধের মত ঘটনাও এখানে ঘটে। মাদক বিক্রেতারা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছিল মাদকের হাট হিসেবে। প্রায় ২শ শতাংশ জমি এখানে ছিল অবৈধ স্থাপনা। আমরা এটিকে উচ্ছেদ করেছি এবং সড়ক ও জনপদকে বলেছি তাদের জমিতে যেন দ্রুত তারা সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন যেন কেউ আর এখানে অবৈধ স্থাপনা করতে না পারে। জানা যায়, এই ২শ শতাংশ জমির দাম প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এই জমিটি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন দখলে রেখে এখানে মাদক বিক্রেতাদের ভাড়া দিতে তাদেরকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাতেন। এখন এটি উচ্ছেদ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন নগরবাসী।